১৭ বছর বয়সে ভোটার হওয়ার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

- আপডেট সময় : ০৮:৩৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ করার কথা উপস্থাপন করেছেন। একজন তরুণ কিংবা তরুণী নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মতামত দেওয়ার জন্য এটি উপযোগী সময় বলেও তিনি মত প্রকাশ করেছেন।
২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য প্রদান করেন। মূলত ভিডিও বার্তা মাধ্যমে তিনি এই মেসেজটি দেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন একজন নাগরিক কোন বয়সে ভোটাধিকার পাবেন সেটির ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম নীতি নির্ধারণ করা আছে। বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্থার কমিশন নিশ্চয়ই এই ধরনের একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সুপারিশ করবে। ভোটার হওয়ার সেই বয়স আমার পছন্দ হতে পারে আবার না হতে পারে। এমনকি তিনি তরুণ তরুণীদের তাড়াতাড়ি ভোটার হওয়ার পক্ষে। যার ফলে তিনি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ করার পক্ষে বলেছেন।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মতে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির সাথে এই তরুণদের গভীর একটি সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি সংখ্যায়ও তারা অনেক বেশি সেই সাথে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা যথেষ্ট আগ্রহী। তাই নিজেদের মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার জন্য ১৭ বয়স নির্ধারণ করা উচিত এই সময়।
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ
তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কি সুপারিশ করবে তা জানা নেই। তিনি আরো উল্লেখ করেন দেশের মানুষ যদি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অপছন্দ করে তাহলে আমিও সেটা মেনে নেব। রাষ্ট্রসংস্কারের দায়িত্ব আমাদের কাছে এসে পড়েছে সেটি যার যার অবস্থান থেকে অবশ্যই পালন করতে হবে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক, ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংস্থানের এই মহান কাজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার।
আমরা জানি বাংলাদেশের ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮। ১৮ বছরের আগে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আমাদেরকে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়ে থাকে। যেটি আমরা জীবনের সব বয়সে ব্যবহার করে থাকি। প্রতিবছর এই ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় হলে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আমরা ছবি এবং অন্যান্য তথ্যাবলী দিয়ে আসি। ছবি তোলার আগে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা সদস্য সংখ্যা ইত্যাদি হালনাগাদ করা হয়ে থাকে।
নির্ধারিত স্থানে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য ছবি এবং অন্যান্য তথ্য যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি দেওয়ার কিছুদিন পরে আমাদের ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে। আর এই আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়েই আমরা ভোট প্রধান সহ নানা ধরনের কাজকর্ম সম্পাদন করতে পারি।
বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অনেক দেশে এই ভোটার তালিকা কিংবা ভোটার হওয়ার বয়স ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। এ সকল কিছুর পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ করার পক্ষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।