প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদনের সময়

- আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রথম শ্রেণীর থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গিয়েছে দেশে সকল সরকারি বিদ্যালয়ে এ সকল শ্রেণীতে লটারি মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আগ্রহে প্রার্থীরা আগামী ১২ই নভেম্বর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন। ফলাফলের জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বর মাসে।
২৮ অক্টোবর সোমবার ২০২৪ তারিখে মাউশির একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য গুলি জানা যায়। এর আগে দেশে অক্টোবর অনুষ্ঠিত একটি সবার মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের সময় ঠিক করা হয়েছিল। ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তারপর ডিসেম্বর মাসে লটারির মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত ফলাফল।
মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির বিষয়ে আরো জানা গিয়েছে, সকল ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য শূন্য আসন গুলির তথ্য চেয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যেই এই সকল তথ্য গুলি প্রদান করতে হবে। তবে কোন শ্রেনীতে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা ৫৫ এর বেশি প্রদান করা যাবে না।
বিগত শিক্ষাবর্ষ গুলোতে স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় বছরের শেষ সময়ে। তারপর জানুয়ারি থেকেই ক্লাস নেওয়াও শুরু হয়ে যায়। এর আগে লটারি মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হতো। তারপর সর্বপ্রথম করোনাকালীন সময়ে অর্থাৎ ২০২১ সালে লটারি মাধ্যমে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করানো হয়। তারপর থেকে এই একই পদ্ধতি পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদনের সময় জেনে নিন
তবে স্কুলের ভর্তি আবেদনের ক্ষেত্রে এবার কোটায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা এবং নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ শতাংশ কোটা। কিন্তু এখন শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েদের জন্য ৫% কোটা থাকবে এবং এ সকল কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধা তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি জেলায় সরকারি বিদ্যালয় গুলোতে সন্তানদের ভর্তি করানোর ইচ্ছা থাকে সকল অভিভাবকের। কিন্তু আসন সল্পতার কারণে সবাইকে সেই সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয় না। করোনার আগে শুধুমাত্র প্রথম শ্রেণি ছাড়া বাকি শ্রেণী গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হতো। যারা মেধা তালিকায় যারা ভালো করতো আসন খালি থাকার সাপেক্ষে তাদেরকেই সুযোগ প্রদান করা হতো। আবেদন করতে হতো অনলাইনে এবং নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে।
কিন্তু করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য লটারি মাধ্যমে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যার পর থেকে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করার পর লটারির মাধ্যমে রেজাল্ট প্রদান করা হতো। এবারও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
দিনের বেলায় বারবার ক্ষুধা লাগার কারণ কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।