হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২ বার পড়া হয়েছে

পিঠে ব্যথা হলে করণীয়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কিছুই এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। এমনকি ঘরে বসে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা যায়। চাকুরী, বিজনেসের কাজ, লেখাপড়ার কাজ, এমনকি অনলাইনে বাজার করাও যেন মোবাইল এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে বেশি করা হয়ে থাকে। আর এই কারণে শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকা কিংবা দীর্ঘক্ষণ টেবিলে বসে থাকার ফলে পিঠে ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কম বেশি সকল বয়সের লোকেরাই বর্তমানে পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকে। এদের মধ্যে আবার ৯০ শতাংশ লোকেরই পিঠে ব্যথা হয় শুধুমাত্র দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে।

হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি

তবে কারণ যাই হোক না কেন আপনি যদি হঠাৎ করেই কিংবা বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠে ব্যথার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস অবলম্বন করেই এই ব্যথাটি অনেক আংশিক কমিয়ে আনতে পারেন। যেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

১। সবচাইতে উত্তম উপায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় মাথার নিচে বালিশ না নেওয়া। আর যদি বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস না থাকে তাহলে অবশ্যই তুলোর এবং নরম বালিশ ব্যবহার করুন।

২। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করলে আমাদের দেহের মাংসপেশি ভালো থাকে। এতে করেও পিঠের ব্যথা অনেক আংশিক দূর হয়ে যায়।

৩। অফিস কিংবা বাসায় চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করার সময় একটানা বসে থাকা উচিত নয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অন্তত ২০ মিনিট পর পর হেটে আসা উচিত। পিঠে ব্যথা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি সবচাইতে কার্যকরী।

৪। সারাদিন পরিশ্রম শেষে রাতের বেলা যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। তাই রাত না জেগে তাড়াতাড়ি শোয়ান অভ্যাস করুন।

৫। হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা হলে ব্যথার স্থানে কিছু পরিমাণে গরম সেঁক দিতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করার আগে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া ভালো।

৬। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে নিকোটিন আমাদের মেরুদন্ডের ডিস্কের রক্ত প্রবাহকে সীমিত করে দেয়। যা থেকে পরবর্তীতে পিঠে ব্যথা শুরু হতে পারে।

৭। কখনোই টেবিলের উপরে ঝুঁকে কাজ করা উচিত নয়। সেই সাথে খেলতে হবে আপনার হাঁটু যেন কিছুটা উঁচুতে থাকে।

৮। আমাদের দেহে যদি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ইত্যাদি উপাদানের ঘাটতি হয় তাহলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। কারণ এই ধরনের উপাদান গুলি আমাদের দেহের হাড়কে মজবুত করে। যার কারণে নিয়মিত দুধ, দই, শাক সবজি ইত্যাদি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খান। চর্বি জাতীয় খাবারের মধ্যে মাছ ডিমের কুসুম, গরুর কলিজা কিংবা পনির খুবই উপকারী।

আবার ভারী কোন কাজ কিংবা বস্তু ওঠাতে গিয়ে পিঠে ব্যথা হতে পারে। এটির সাময়িক সময়ের জন্য। মূলত বাড়ি বস্তুটির চাপ আমাদের মাংসপেশি এবং মেরুদন্ডতে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন হাঁটু ভাঁজ করে ভারী জিনিসপত্র উঠানামা করানোর জন্য। এতে করে পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব কিছুই এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। এমনকি ঘরে বসে সকল কার্যক্রম সম্পাদন করা যায়। চাকুরী, বিজনেসের কাজ, লেখাপড়ার কাজ, এমনকি অনলাইনে বাজার করাও যেন মোবাইল এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে বেশি করা হয়ে থাকে। আর এই কারণে শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকা কিংবা দীর্ঘক্ষণ টেবিলে বসে থাকার ফলে পিঠে ব্যথা হতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কম বেশি সকল বয়সের লোকেরাই বর্তমানে পিঠে ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকে। এদের মধ্যে আবার ৯০ শতাংশ লোকেরই পিঠে ব্যথা হয় শুধুমাত্র দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে।

হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা হলে করণীয় কি

তবে কারণ যাই হোক না কেন আপনি যদি হঠাৎ করেই কিংবা বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠে ব্যথার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়। তবে দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস অবলম্বন করেই এই ব্যথাটি অনেক আংশিক কমিয়ে আনতে পারেন। যেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

১। সবচাইতে উত্তম উপায় হচ্ছে ঘুমানোর সময় মাথার নিচে বালিশ না নেওয়া। আর যদি বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস না থাকে তাহলে অবশ্যই তুলোর এবং নরম বালিশ ব্যবহার করুন।

২। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করলে আমাদের দেহের মাংসপেশি ভালো থাকে। এতে করেও পিঠের ব্যথা অনেক আংশিক দূর হয়ে যায়।

৩। অফিস কিংবা বাসায় চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করার সময় একটানা বসে থাকা উচিত নয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অন্তত ২০ মিনিট পর পর হেটে আসা উচিত। পিঠে ব্যথা কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি সবচাইতে কার্যকরী।

৪। সারাদিন পরিশ্রম শেষে রাতের বেলা যদি ভালো ঘুম না হয় তাহলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। তাই রাত না জেগে তাড়াতাড়ি শোয়ান অভ্যাস করুন।

৫। হঠাৎ করে পিঠে ব্যথা হলে ব্যথার স্থানে কিছু পরিমাণে গরম সেঁক দিতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করার আগে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া ভালো।

৬। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে নিকোটিন আমাদের মেরুদন্ডের ডিস্কের রক্ত প্রবাহকে সীমিত করে দেয়। যা থেকে পরবর্তীতে পিঠে ব্যথা শুরু হতে পারে।

৭। কখনোই টেবিলের উপরে ঝুঁকে কাজ করা উচিত নয়। সেই সাথে খেলতে হবে আপনার হাঁটু যেন কিছুটা উঁচুতে থাকে।

৮। আমাদের দেহে যদি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ইত্যাদি উপাদানের ঘাটতি হয় তাহলে পিঠে ব্যথা হতে পারে। কারণ এই ধরনের উপাদান গুলি আমাদের দেহের হাড়কে মজবুত করে। যার কারণে নিয়মিত দুধ, দই, শাক সবজি ইত্যাদি ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খান। চর্বি জাতীয় খাবারের মধ্যে মাছ ডিমের কুসুম, গরুর কলিজা কিংবা পনির খুবই উপকারী।

আবার ভারী কোন কাজ কিংবা বস্তু ওঠাতে গিয়ে পিঠে ব্যথা হতে পারে। এটির সাময়িক সময়ের জন্য। মূলত বাড়ি বস্তুটির চাপ আমাদের মাংসপেশি এবং মেরুদন্ডতে প্রভাব ফেলে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন হাঁটু ভাঁজ করে ভারী জিনিসপত্র উঠানামা করানোর জন্য। এতে করে পিঠে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।