শীতের দিনে পায়ের গোড়ালির যত্ন নিবেন কিভাবে

- আপডেট সময় : ০২:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকৃতিতে ইতিমধ্যে পড়ে গিয়েছে শীতের আমেজ। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ত্বকের এবং পা ফাটার সমস্যা। বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেলে আমাদের শরীর অনেকটাই ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। এজন্য শীতের মৌসুমে কম পানি পান করলে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে।
এ সকল কারণ ছাড়াও দেহে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে আমাদের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। এছাড়াও একজিমা কিংবা অন্যান্য রোগের কারণেও পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তবে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে যদি পা ফেটে যায় তাহলে ঘোরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে সেগুলো দূর করতে পারবেন চলুন জেনে নেই।
নারিকেল তেলের ব্যবহার
শীতকালে এবং যেকোনো ধরনের শুষ্ক আবহাওয়ায় প্রাকৃতিক গুন সম্পন্ন নারিকেল তেল খুবই কার্যকরী। এটি আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। যেহেতু শীত এখন অনেক টাই পড়ে গিয়েছে তাই পা ফাটা রোধ করার জন্য নিয়মিত নারিকেল তেল মালিশ করতে পারেন।
পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার
শিত যত প্রকট হয় পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার তত বৃদ্ধি পায়। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে খানিকটা পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রাখুন। এতে করে গোড়ালি ফাটা থেকে অনেকটাই ভালো থাকতে পারবেন।
পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করতে মাউথওয়াশ
এক মগ পানির মধ্যেও কিছুটা মাউথওয়াশ মিশিয়ে নিন। তার ভেতর খানিকটা পা ডুবিয়ে রাখুন। মাউথ ওয়াশে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের পায়ের সমস্ত জীবানো দূর করে এবং ত্বকের আ্রদ্রতা ধরে রাখে। পা ফাটা রোধে এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন অনুসরণ করুন।
কলার খোসা দিয়ে পা ফাটা রোধ
গোড়ালির ফাটা অংশে কিছু পরিমাণের কলার খোসা ঘষতে পারেন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অবলম্বন পায়ের ত্বক থাকবে আরও মসৃণ এবং চকচকে।
লেবুর রস
সুস্বাস্থ্য এবং ত্বকের বিভিন্ন যত্নে লেবুর রসের ব্যবহার আর প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। এক চামচ পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে ২ চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মিশ্রিত করুণ। তারপর সেটির পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে মোজা পড়ে নিন। আপনি চাইলে বাইরে হাঁটার সময়ও এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। অল্প কিছুদিন পরে দেখবেন আপনার পায়ের ত্বক অনেক বেশি মুসলিম হয়ে গিয়েছে।
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতের মৌসুমে ত্বকের জন্য প্রয়োজন একটুও বাড়তি যত্ন। তা না হলে পা ফেটে গিয়ে অনেক সময় রক্ত পড়তে পারে। তবে পায়ের গোড়ালি ফাটার পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয়, চুলকায় এবং ব্যথা করে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।