মুড়ি খেলে কি ওজন কমে | মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

- আপডেট সময় : ০৬:৩২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
হালকা নাস্তা হিসেবে অনেকেই মুড়ি খেতে বেশ পছন্দ করেন। আবার অনেকেই জানতে চান মুড়ি খেলে ওজন কমে কিনা। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। সকাল কিংবা বিকেলে এটি খাওয়ার মধ্যে বেশ আনন্দও রয়েছে। তবে জনপ্রিয় এই খাদ্যটিতে কী পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং তাদের জন্য উপকারী শেষ সম্পর্কে হয়তো অনেকে ধারণা রাখেন না।
চলুন আজকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা এবং মুড়ি খেলে ওজন কমে কিনা সে সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করব।
তার আগে বলে নেই আমাদের গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে মুড়ি। সাধারণত বিশেষ ধরনের চাল খুব সুন্দর ভাবে প্রক্রিয়া শেষে গরম বালিতে এটি দিয়ে মুড়ি তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে এর কারখানা রয়েছে যেখানে মেশিনের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয় মুড়ি। বাজারে দেশে এবং হাইব্রিড উভয় ধরনের চাউলের মুড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারে আমাদের মুড়ি ছাড়া যেন চলেই না।
মুড়ি খেলে কি ওজন কমে
যারা সচেতন ভাবে ওজন কমাতে চান তাদের জন্য মুড়ি হতে পারে একটি ভালো খাবার। কারণ এতে খুব কম চর্বি এবং ক্যালরি রয়েছে। ১৫ গ্রাম মুড়িতে মাত্র ৫৪ ক্যালোরি থাকে। আবার পুষ্টি সমৃদ্ধ এই খাবারটিতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে পেট ভরা ভরা লাগে এবং ক্ষুধাও লাগে না। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক এবং অন্যান্য ভিটামিন উপাদান।
আমরা যখন অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজি, পোড়া, মাছ-মাংস ইত্যাদি খেয়ে থাকে তখন গ্যাসের কারণে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। এ সকল পরিস্থিতিতে মুড়ি খুবই ভালো একটি সমাধান। আপনি যদি সামান্য পানিতে মুড়ি ভিজিয়ে খান তাহলে গ্যাসের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
আবার যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রেও মুড়ি খুবই উপকারী। এটিও মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম।
আমাদের দেহের হাড় গঠনের দরকার ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ডি ইত্যাদি। যার সবকিছুই এই মুহূর্তে রয়েছে। আবার ত্বকের যত্ন নিয়ে আমরা কমবেশি সবাই চিন্তিত থাকে। মুড়িতে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যেটি আমাদের ত্বককে আল্ট্রাভায়োলট ক্ষতিকর রশি হতে রক্ষা করে। সবমিলিয়ে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা কি
যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের নাস্তার টেবিলে মুড়ি খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না এতে বেশ পরিমাণে শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যে উপাদান গুলি আমাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। আপনি নিয়মিত অবশ্যই মুড়ি খেতে পারেন তবে সেটি অল্প পরিমাণে। কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না।
আবার অনেকেই কিডনি জনিত সমস্যায় আক্রান্ত রয়েছে। যেহেতু মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি তাই কিডনি রোগীদের জন্য এটি ভালো কিছু বয়ে আনেনা। এক্ষেত্রে অবশ্যই মুড়ি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ঠিক একইভাবে সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ এর জন্য । তাই যারা হার্ট কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা মুড়ি খাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকুন।
আমাদের শেষ কথা
আবার বর্তমানে বাজারে প্যাকেটজাত কিংবা খোলা বাজারে যে মুড়ি গুলো কিনতে পাওয়া যায় সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ক্ষতিকর উপাদান যেমন আর্সেনিক, ইউরিয়া ইত্যাদি মেশানো থাকে। যে উপাদান গুলোর কারনে মুড়ি দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। তাই এ ধরনের মুড়ি কেনা থেকে বিরত থেকে বাসায় কিংবা গ্রামের বাড়ি থেকে মুড়ি ভেজে নেওয়া ভালো। আর যদি আপনার অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকে তাহলে তাহলে ওজন কমানোর জন্য মুড়ি খেতে পারেন কারণ সঠিক উপায় এবং যথা নিয়মে মুড়ি খেলে ওজন কমে।