একটি আধুনিক স্মার্টফোন বা মোবাইলের ডিসপ্লে বেশ দামী একটি অংশ। বর্তমানের এমোলেড, ওলেড, কিউলেড ইত্যাদি ডিসপ্লের দাম ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এমনকি আইফোনের স্ক্রিনের বা ডিসপ্লের দাম তো আরো বেশি। তাই মোবাইলে ফোনের পাশাপাশি এই অংশটি সুরক্ষিত রাখার জন্য আমরা স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আসলে কি এই ধরনের আলাদা কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে?

বর্তমানে বেশিরভাগ স্মার্টফোন গুলোতে কর্নিং গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়। যেটি মূলত বিভিন্ন ধরনের দাগ প্রতিরোধী। অর্থাৎ ডিসপ্লে তে সহজে দাগ যেতে না পারে সেভাবেই এগুলো তৈরি করা হয়। এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে আলাদা করে স্ক্রিন প্রটেক্টর কিংবা গ্লাস ব্যবহার করে না।

মোবাইল ফোনে কি স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগানো উচিত

বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এটি অবশ্যই ব্যবহার করা প্রয়োজন। নিম্ন এর ক্ষেত্র গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ফোনের অযত্ন করার অভ্যাস থাকলে

অনেকেই আছে যারা কিনা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রায় উদাসীন থাকে। মানিব্যাগ, কয়েন, চাবি ইত্যাদি জিনিসপত্রের সাথে মোবাইল ফোনও এরা একই পকেটে রাখে। এতে করে মোবাইলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাই স্ক্রিন প্রটেক্টর অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।

মোবাইল ফোনের যত্ন নেওয়া

আপনি যদি একটি ডিভাইস দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে চান এবং সেটি বিক্রির পরিকল্পনা থাকে তাহলে অবশ্যই যত্নের সহিত ব্যবহার করা দরকার। কারণ অপরকেও যখন একটি ইউজ ব্যবহার করা ফোন কিনে তখন সবার আগে ডিসপ্লে কিংবা এর উপরে পড়া দাগ গুলোকে যাচাই করে থাকে। তাই ফোনকে সুন্দর এবং দাগ মুক্ত রাখার জন্য অবশ্যই স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অন্যান্য ও কারণ

বাইরে ধুলাবালি, পানি, আঘাত ইত্যাদির কারণে যে কোন সময় আমাদের ফোনের ডিসপ্লে ক্ষতিগ্রস্ত পারে। তাই এ ধরনের আগের থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে একটি ভাল মনের স্ক্রিন প্রটেক্টর। বর্তমানে আবার বিভিন্ন ধরনের এন্টি গ্লেয়ার, ব্লু লাইট ফিল্টার কিংবা প্রাইভেসি প্রটেক্টর পাওয়া যায়। যেগুলো দিয়ে মোবাইলের ডিসপ্লের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত তথ্যেরও নিরাপত্তা বজায় রাখা যায়।

কোন ধরনের স্ক্রিন প্রটেক্টর মোবাইলের জন্য ভালো

চলতি সময়ের সবচাইতে আধুনিক এবং শক্তিশালী স্ক্রিন প্রটেক্টর হচ্ছে টেম্পারড গ্লাস। এতে করে মোবাইলের পর্দায় খুব সহজে তার পরে না কিংবা ছোট লাগে না। এছাড়াও আপনি প্লাস্টিক ফিল্মও কিনতে পারেন। এটি অনেক হালকা এবং বোঝা যায় না যে মোবাইলের উপরে আলাদা কোন প্রটেক্টর রয়েছে।

তবে প্লাস্টিক ফিল্মগুলো টেম্পারড গ্লাসের মত এতটা নিরাপত্তা দিতে পারে না।

বাজারে আরো পাওয়া যায় লিকুইড প্রটেক্টর যেগুলো ব্যবহার করা অনেক সহজ এমনকি খুবই পাতলা তবে মোবাইলের নিরাপত্তায় তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না।

স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহারে অসুবিধা গুলি কি কি

আপনি যদি কম দামে কিংবা নিম্নমানের গ্লাস পেপার অথবা স্ক্রীন প্রোটেক্টর ব্যবহার করেন তাহলে মোবাইলের টাচ সেনসিটিভিটি কমিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ মোবাইল চালাতে বেশ কিছুটা অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

আবার অতিরিক্ত মোটা এবং নিম্নমানের গ্লাস প্রটেক্টর গুলির ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কমে দেয় এবং সঠিক কালার বোঝা যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ঠিকমতো লাগাতে না পারলে ভেতরে বুদবুদ কিংবা বাতাস ঢুকে থাকে।

সুতরাং আপনার যদি কর্নিং গরিলা গ্লাসের একটি মোবাইল থাকে তাহলে স্ক্রীন প্রটেক্টরের তেমন কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে বাইরে কাজ করেন চাকরি করেন ব্যবসার কাজে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন এই ধরনের পরিস্থিতিতে অবশ্যই একটি টেম্পারড গ্লাস লাগানো উচিত।