মোবাইলের ইন্টারনেট খরচ কমানোর উপায় কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

মোবাইলের ইন্টারনেট খরচ কমানোর উপায়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ হচ্ছে ইন্টারনেট। ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি আমরা অনেক সময় মোবাইল অপারেটর থেকেও বিভিন্ন ধরনের ডাটা প্যাকেজ কিনে থাকি। এটি দিয়েও সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করা গেলেও ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। তাইতো মোবাইলের ইন্টারনেট খরচ কমানোর উপায় গুলো নিয়ে আমি আজকে হাজির হয়েছি।

মোবাইলের ব্যাক গ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ গুলি বন্ধ করে দিন

আমাদের ফোনের সকল অ্যাপই প্রায় ব্যাক গ্রাউন্ডে ডাটা নিতে থাকে। যার কারণে আপনি ব্যবহার না করলেও আস্তে আস্তে ডাটা শেষ হতে থাকে। তাই ইন্টারনেট খরচ কমাতে চাইলে ব্যাক গ্রাউন্ডে চলা এই ধরনের অ্যাপ গুলি বন্ধ করে দিন। যেকোনো ব্র্যান্ডের মোবাইলের সেটিং থেকে অ্যাপ অপশনে প্রবেশ করলেই এই ফিচারটি দেখতে পারবেন।

ইন্টারনেট খরচ কমানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করে দিন

এমন কিছু সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি ডাটা খরচ করে। যদি প্রয়োজন না থাকে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গুলি মোবাইল থেকে আপাতত রিমুভ করে দিন। পরবর্তীতে যখন প্রয়োজন হবে তখন আবার ইন্সটল করতে পারবেন। এর ফলে ইন্টারনেট খরচ অনেকটাই কমিয়ে না সম্ভব।

সকল ধরনের আপডেট নিয়ন্ত্রণ করা

আপনার স্মার্ট ফোনটিতে যদি অটো আপডেট চালু করে থাকে তাহলে অনেক ইন্টারনেট খরচ হতে পারে। প্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো আপনি আপডেট করা শেষ হলে এই ফিচারটি বন্ধ করে দিন। এছাড়াও ব্রডব্যান্ড কিংবা ওয়াইফাই ব্যবহার করে সফটওয়্যার আপডেট করা ভালো।

ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট সুবিধা

এটি হচ্ছে এমন একটি ফিচার যার মাধ্যমে দুর্বল ওয়াইফাই সংযোগ থাকলে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেটের গতি প্রদান করা হয়। অর্থাৎ আপনি ওয়াইফাই কিংবা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট যাই ব্যবহার করেছেন কিন্তু সেটার স্পিড অনেকটাই কম থাকে, সেক্ষেত্রে স্মার্টফোন সিম ডাটা থেকে ইন্টারনেট গ্রহণ করবে। এর ফলেও ডাটা খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

মোবাইলের ইন্টারনেট অপশন বন্ধ রাখা

অনেক সময় প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট অপশনটি আমরা চালু করে রাখি। যার কারণেও অনেক ডাটার অপচয় হয়ে থাকে। এতে করে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং ফোন গরম হতে পারে। ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখুন।

যারা বিভিন্ন চাকুরি কিংবা বিজনেসের সাথে জড়িত তাদের আবার সব সময় ইন্টারনেট চালু রাখতে হয়। কারণ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার বেশিরভাগই এখন ইন্টারনেট নির্ভর। তাদের ক্ষেত্রে ওয়াই ফাই বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করা সবচাইতে বেশি ভালো। এতে মোবাইলের উপরে চাপ কম পড়ে।

কম খরচে ইন্টারনেট প্যাকেজ

বর্তমানে গ্রামীন, এয়ারটেল, রবিসহ বিভিন্ন সিম অপারেটর নির্দিষ্ট মূল্য ও মেয়াদে আনলিমিটেড ইন্টারনেট অফার করছে। অর্থাৎ ওয়াইফাইয়ের মত করে এই ডাটার কোন লিমিট নেই। এতে করে গ্রাহকদের বেশ সুবিধাই হচ্ছে। কারণ লিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় বিড়াম্বনায় পড়তে হয়। যেহেতু তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে হয় তাই এটি সবচাইতে উত্তম উপায়।

ডাটা সেটিংস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা

বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনাকে অনেক লোড ডাটা খরচ করতে সাহায্য করবে। এমনকি জনপ্রিয় সব ব্রাউজারে ডাটা সেভিং মোড রয়েছে। যেটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করলে আপনি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ডাটা সেভ করতে পারবেন। আবার যোগাযোগের জন্য অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা যাচাই করতে পারেন। বর্তমানে ভয়েস কলিং এর ক্ষেত্রে সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।

ইন্টারনেট খরচ কমানোর অন্যান্য উপায়

যদি আপনার মোবাইল ডাটা শেষ পর্যায়ে থাকে তাহলে ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে লো কোয়ালিটি মুড ব্যবহার করতে পারেন। যারা কিনা নিয়মিত অনলাইনে গেম খেলে তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি ডাটা প্রয়োজন হয়। এমন কিছু অ্যাপস, ওয়েবসাইট এবং প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে তুলনামূলক বেশি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। তাই ডাটা ব্যালেন্স কম থাকলে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলির ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারেন।

৪৮১টি পদে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ প্রকাশ। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

মোবাইলের ইন্টারনেট খরচ কমানোর উপায় কি

আপডেট সময় : ০৫:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ হচ্ছে ইন্টারনেট। ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি আমরা অনেক সময় মোবাইল অপারেটর থেকেও বিভিন্ন ধরনের ডাটা প্যাকেজ কিনে থাকি। এটি দিয়েও সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করা গেলেও ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। তাইতো মোবাইলের ইন্টারনেট খরচ কমানোর উপায় গুলো নিয়ে আমি আজকে হাজির হয়েছি।

মোবাইলের ব্যাক গ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ গুলি বন্ধ করে দিন

আমাদের ফোনের সকল অ্যাপই প্রায় ব্যাক গ্রাউন্ডে ডাটা নিতে থাকে। যার কারণে আপনি ব্যবহার না করলেও আস্তে আস্তে ডাটা শেষ হতে থাকে। তাই ইন্টারনেট খরচ কমাতে চাইলে ব্যাক গ্রাউন্ডে চলা এই ধরনের অ্যাপ গুলি বন্ধ করে দিন। যেকোনো ব্র্যান্ডের মোবাইলের সেটিং থেকে অ্যাপ অপশনে প্রবেশ করলেই এই ফিচারটি দেখতে পারবেন।

ইন্টারনেট খরচ কমানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ রিমুভ করে দিন

এমন কিছু সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি ডাটা খরচ করে। যদি প্রয়োজন না থাকে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গুলি মোবাইল থেকে আপাতত রিমুভ করে দিন। পরবর্তীতে যখন প্রয়োজন হবে তখন আবার ইন্সটল করতে পারবেন। এর ফলে ইন্টারনেট খরচ অনেকটাই কমিয়ে না সম্ভব।

সকল ধরনের আপডেট নিয়ন্ত্রণ করা

আপনার স্মার্ট ফোনটিতে যদি অটো আপডেট চালু করে থাকে তাহলে অনেক ইন্টারনেট খরচ হতে পারে। প্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো আপনি আপডেট করা শেষ হলে এই ফিচারটি বন্ধ করে দিন। এছাড়াও ব্রডব্যান্ড কিংবা ওয়াইফাই ব্যবহার করে সফটওয়্যার আপডেট করা ভালো।

ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট সুবিধা

এটি হচ্ছে এমন একটি ফিচার যার মাধ্যমে দুর্বল ওয়াইফাই সংযোগ থাকলে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেটের গতি প্রদান করা হয়। অর্থাৎ আপনি ওয়াইফাই কিংবা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট যাই ব্যবহার করেছেন কিন্তু সেটার স্পিড অনেকটাই কম থাকে, সেক্ষেত্রে স্মার্টফোন সিম ডাটা থেকে ইন্টারনেট গ্রহণ করবে। এর ফলেও ডাটা খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

মোবাইলের ইন্টারনেট অপশন বন্ধ রাখা

অনেক সময় প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট অপশনটি আমরা চালু করে রাখি। যার কারণেও অনেক ডাটার অপচয় হয়ে থাকে। এতে করে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায় এবং ফোন গরম হতে পারে। ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখুন।

যারা বিভিন্ন চাকুরি কিংবা বিজনেসের সাথে জড়িত তাদের আবার সব সময় ইন্টারনেট চালু রাখতে হয়। কারণ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার বেশিরভাগই এখন ইন্টারনেট নির্ভর। তাদের ক্ষেত্রে ওয়াই ফাই বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করা সবচাইতে বেশি ভালো। এতে মোবাইলের উপরে চাপ কম পড়ে।

কম খরচে ইন্টারনেট প্যাকেজ

বর্তমানে গ্রামীন, এয়ারটেল, রবিসহ বিভিন্ন সিম অপারেটর নির্দিষ্ট মূল্য ও মেয়াদে আনলিমিটেড ইন্টারনেট অফার করছে। অর্থাৎ ওয়াইফাইয়ের মত করে এই ডাটার কোন লিমিট নেই। এতে করে গ্রাহকদের বেশ সুবিধাই হচ্ছে। কারণ লিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময় বিড়াম্বনায় পড়তে হয়। যেহেতু তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে হয় তাই এটি সবচাইতে উত্তম উপায়।

ডাটা সেটিংস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা

বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনাকে অনেক লোড ডাটা খরচ করতে সাহায্য করবে। এমনকি জনপ্রিয় সব ব্রাউজারে ডাটা সেভিং মোড রয়েছে। যেটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করলে আপনি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ডাটা সেভ করতে পারবেন। আবার যোগাযোগের জন্য অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা যাচাই করতে পারেন। বর্তমানে ভয়েস কলিং এর ক্ষেত্রে সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যাপ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।

ইন্টারনেট খরচ কমানোর অন্যান্য উপায়

যদি আপনার মোবাইল ডাটা শেষ পর্যায়ে থাকে তাহলে ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে লো কোয়ালিটি মুড ব্যবহার করতে পারেন। যারা কিনা নিয়মিত অনলাইনে গেম খেলে তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি ডাটা প্রয়োজন হয়। এমন কিছু অ্যাপস, ওয়েবসাইট এবং প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে তুলনামূলক বেশি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। তাই ডাটা ব্যালেন্স কম থাকলে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলির ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারেন।

৪৮১টি পদে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ প্রকাশ। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।