কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা কি কি
- আপডেট সময় : ১১:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩ বার পড়া হয়েছে
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ডিম একটি আদর্শ খাবার। সাধারণত ছোট বড় সকলেই মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম, সেই সাথে কোয়েলের ডিমও খেয়ে থাকেন। কোয়েল পাখির ডিম অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের সরবরাহ করে থাকে। এমনকি ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই এটি খেতেও পছন্দ করেন।
আজকে আমরা বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদদের থেকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। সাধারণত মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের তুলনায় এই ডিমটি অনেকটাই ছোট হয়ে থাকে। তবে আকার যাই হোক না কেন এতে রয়েছে প্রোটি ভিটামিন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যেগুলো আমাদের দেহে কে বিভিন্ন শক্তি যোগায়।
কোয়েলের ডিম খাওয়ার উপকারিতা কি কি
প্রথমেই বলে নিচ্ছি এটাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন। গবেষণা দেখা গিয়েছে মাত্র ১০০ গ্রাম কোয়েল পাখির পরিমাণ প্রায় ১৩ গ্রাম। আর এ সকল প্রোটিন আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি, কোষের গঠন এবং হাড়ের ক্ষয় পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এর অন্যান্য উপকারিতা রয়েছে যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে
আমরা জানি ভিটামিন এ আমাদের চোখে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন ডি আমাদের হাড়কে অত্যন্ত মজবুত রাখে। উল্লেখিত এই ৩টি ভিটামিন উপাদানে রয়েছে কোয়েলের ডিমে।
বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ
আমাদের হাড় কিংবা দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য খনিজ পদার্থ অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়। কোয়েলের ডিমে থাকা আয়রন, ফসফরাস, জিংক আমাদের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের পরিমাণকে বাড়ায় এবং যাদের দেহের রক্তের পরিমাণ কম আছে তাদের দেহে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে কোয়ালিটি।
চর্বি ও ক্যালরি প্রদান করে
আমরা জানি ফ্যাট সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে যারা একটি হচ্ছে স্যাচুরেটেড এবং অন্যটি হচ্ছে আনস্যাচুরেটেড। কোয়েলের টিমে এই উভয় ধরনের ফ্যাটই রয়েছে। এমনকি অন্যান্য সাধারণ ডিমের তুলনায় এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম যেটা কিনা আমাদের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আবার যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদেরকে নিউট্রিশনিস্টরা নির্দেশনা ডায়েটে এই ডিম অন্তর্ভুক্ত করে দিয়ে থাকেন।
ঠান্ডা জড়িত সমস্যা থেকে রেহাই
শীত এলেই আমাদের জ্বর, ঠান্ডা এবং সর্দির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনি যদি নিয়মিত শীতের দিনে কোয়েলের ডিম খেতে খেতে থাকেন তাহলে ঠান্ডার হাত থেকে অনেকটাই পাবেন।
এলার্জির রোধ প্রতিরোধ করা
শীতের দিনে আরও একটি সমস্যা হচ্ছে অ্যালার্জি বৃদ্ধি পাওয়া প্রবণতাও দেখা যায়। কোয়েলের ডিমে এমন একটি প্রোটিন উপাদান থাকে যেটি আমাদের দেহের অ্যালার্জি কে প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এটি খাওয়ার পরেও যদি আপনার এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে না খাওয়াই ভালো।
কোয়েল পাখির ডিমের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমরা জানি দেহের প্রতিটি অঙ্গের বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য আলাদা আলাদা ভিটামিন এবং সঠিক মাত্রার হরমোনের প্রয়োজন হয়। তাইতো চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং ভিটামিন। কোয়েলের ডিমে ভিটামিন এ এবং অধিক পরিমানে জিঙ্ক থাকার কারণে এটি আমাদের ত্বককে অনেক বেশি উজ্জ্বল করে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিভাবে খাবেন কোয়েলের ডিম
আমরা সাধারণত হাঁস মুরগির ডিম ভেজে রান্না করে কিংবা সিদ্ধ করে খেয়ে থাকে। আপনি কোয়েলের ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। তবে যদি অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করেন ভাজির ক্ষেত্রে তাহলে এর পুষ্টি গুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার প্রতিদিন ৪-৫ টা কিংবা এর অতিরিক্ত ডিম খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এর ফ্যাটের কারণে শারীরিকভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আবার অনেকেই হাফ বয়েল কিংবা অল্প সিদ্ধ করেই ডিম এই আশায় যে অনেক বেশি পুষ্টি দেহে প্রবেশ করবে। এটিও সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। পুষ্টিবিদরা সাধারণত পরামর্শ দিয়ে থাকেন যেকোনো ধরনের ডিমই পুরোপুরি সিদ্ধ করে তারপরে খাওয়ার জন্য।