খাঁটি মধু চেনার কয়েকটি কৌশল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে

খাঁটি মধু চেনার উপায়

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সকল রোগের মহাঔষধ হচ্ছে মধু। এমনকি ত্বকের সমস্যা এবং শীতকালে ঠান্ডা জনিত রোগ গুলি দূর করতেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাইতো খাঁটি মধু চেনার কৌশল গুলি আমি আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। মধুতে রয়েছে প্রায় ৪৫টিরও অধিক খাদ্য উপাদান। তবে নেই কোন সাধারণ চর্বি কিংবা প্রোটিন।

১০০ গ্রাম মধু থেকে আমরা প্রায় ৩০৪ ক্যালোরি পেয়ে থাকি। তবে মধু কিনতে গেলে সবাই একটা জিনিস নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। সেটি হচ্ছে দেখতে হুবহু মধুর মত হলেও এর মধ্যে রয়েছে আসল এবং নকলের বিষয়।

তাইতো খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলি আপনার জানা থাকা প্রয়োজন। এতে করে খুব সহজে আসল নকলের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

চলুন জেনে নেই খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলি কি কি

১। প্রথমে ১ গ্লাস পানিতে কিছু পরিমাণে মধু-দিন। তারপর গ্লাসটিকে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। যদি পানি মধুর সাথে মিশে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটা ভেজাল। আর যদি মধু গুড়ো হয়ে আস্তে আস্তে চারদিকে ছুটে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন সেটি খাঁটি মধু।

২। নকল মধু চেনার উপায় হচ্ছে সেটাতে ফেনা উৎপন্ন হয়। সেই সাথে টকটক ভাব থাকে এবং গন্ধও তেমন ভালো হয় না।

৩। আবার নকল মধু পাতলা এবং খাঁটি মধু বেশ খানিকটা ঘন হয়। নকল মধুর স্তর গুলো আলাদা করা যায় এবং তলানিটা খুবই খসখসে থাকে।

৪। আঙুলের ডগায় সামান্য পরিমাণে মধু নিয়ে এর গুরুত্ব পরীক্ষা করুন। এর কারণ হচ্ছে আসল মত অনেক বেশি আঠালো প্রকৃতির হয়।

৫। আপনি যদি পানির মধ্যে কয়েক ফোটা খাঁটি মধু ছেড়ে দেন তাহলে সেটি ড্রপ অবস্থায় গ্লাসের তলানিতে পৌঁছে যাবে। যদি এমতাবস্থায় মধু পানির সাথে মিশে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটাতে ভেজাল আছে।

৬। খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে এটি দীর্ঘ দিনেও জমাট বাঁধে না। এমনকি পিঁপড়া ধরে না। শীতের আবহাওয়া কিংবা ফ্রিজে রাখলে নকল মধু সহজে যেমন বেড়ে যায়।

৭। নকল মধু চেনার আরো একটি সহজ উপায় হচ্ছে নকল মধুতে সহজে আগুন ধরে না। কিন্তু খাঁটি মধ্যতে খুব সহজেই আগুন ধরে যায়। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার জন্য সামান্য পরিমাণ তুলো মধুতে ভিজিয়ে নিয়ে ম্যাচের আগুন দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। যদি দ্রুত সেটি আগুন লেগে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন সেটি আসন।

৮। কিছু পরিমাণে মধু নিয়ে গরম পানিতে রেখে দিন। যখন একসাথে মিশ্রিত চিনির গোলে আবার সার্বিক অবস্থায় ফিরে আসবে তখন সেটি মধুর মতই থাকবে। আর চিনি মিশ্রিত হলে সেটা জমে যাবে।

৯। কিছু পরিমাণে ব্লটিং পেপার নেই। তারপর কয়েক ফোটা মধু দিন। যদি কাগজ সম্পন্ন ভাবে মধুটিকে শুষে নেয় তাহলে সেটি খাঁটি নয়।

১০। সামান্য পরিমাণে মধু নিয়ে এটি সাদা কাপড়ে মেখে দিন। আধা ঘন্টা পর পানি দিয়ে ধরে ফেলুন। যদি এতে দাগ থেকে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন মধুটি খাঁটি নয়।

বর্তমান যুগে বিভিন্ন জিনিসের আসল নকল বোঝা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় একদল অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের নকল পণ্য বিক্রি করে থাকে। খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলো জানা থাকলে আপনারা কখনোই এটিকে কিনে প্রতারিত হবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

খাঁটি মধু চেনার কয়েকটি কৌশল

আপডেট সময় : ১০:২৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সকল রোগের মহাঔষধ হচ্ছে মধু। এমনকি ত্বকের সমস্যা এবং শীতকালে ঠান্ডা জনিত রোগ গুলি দূর করতেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাইতো খাঁটি মধু চেনার কৌশল গুলি আমি আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। মধুতে রয়েছে প্রায় ৪৫টিরও অধিক খাদ্য উপাদান। তবে নেই কোন সাধারণ চর্বি কিংবা প্রোটিন।

১০০ গ্রাম মধু থেকে আমরা প্রায় ৩০৪ ক্যালোরি পেয়ে থাকি। তবে মধু কিনতে গেলে সবাই একটা জিনিস নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। সেটি হচ্ছে দেখতে হুবহু মধুর মত হলেও এর মধ্যে রয়েছে আসল এবং নকলের বিষয়।

তাইতো খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলি আপনার জানা থাকা প্রয়োজন। এতে করে খুব সহজে আসল নকলের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

চলুন জেনে নেই খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলি কি কি

১। প্রথমে ১ গ্লাস পানিতে কিছু পরিমাণে মধু-দিন। তারপর গ্লাসটিকে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। যদি পানি মধুর সাথে মিশে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটা ভেজাল। আর যদি মধু গুড়ো হয়ে আস্তে আস্তে চারদিকে ছুটে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন সেটি খাঁটি মধু।

২। নকল মধু চেনার উপায় হচ্ছে সেটাতে ফেনা উৎপন্ন হয়। সেই সাথে টকটক ভাব থাকে এবং গন্ধও তেমন ভালো হয় না।

৩। আবার নকল মধু পাতলা এবং খাঁটি মধু বেশ খানিকটা ঘন হয়। নকল মধুর স্তর গুলো আলাদা করা যায় এবং তলানিটা খুবই খসখসে থাকে।

৪। আঙুলের ডগায় সামান্য পরিমাণে মধু নিয়ে এর গুরুত্ব পরীক্ষা করুন। এর কারণ হচ্ছে আসল মত অনেক বেশি আঠালো প্রকৃতির হয়।

৫। আপনি যদি পানির মধ্যে কয়েক ফোটা খাঁটি মধু ছেড়ে দেন তাহলে সেটি ড্রপ অবস্থায় গ্লাসের তলানিতে পৌঁছে যাবে। যদি এমতাবস্থায় মধু পানির সাথে মিশে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন সেটাতে ভেজাল আছে।

৬। খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে এটি দীর্ঘ দিনেও জমাট বাঁধে না। এমনকি পিঁপড়া ধরে না। শীতের আবহাওয়া কিংবা ফ্রিজে রাখলে নকল মধু সহজে যেমন বেড়ে যায়।

৭। নকল মধু চেনার আরো একটি সহজ উপায় হচ্ছে নকল মধুতে সহজে আগুন ধরে না। কিন্তু খাঁটি মধ্যতে খুব সহজেই আগুন ধরে যায়। এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার জন্য সামান্য পরিমাণ তুলো মধুতে ভিজিয়ে নিয়ে ম্যাচের আগুন দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। যদি দ্রুত সেটি আগুন লেগে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন সেটি আসন।

৮। কিছু পরিমাণে মধু নিয়ে গরম পানিতে রেখে দিন। যখন একসাথে মিশ্রিত চিনির গোলে আবার সার্বিক অবস্থায় ফিরে আসবে তখন সেটি মধুর মতই থাকবে। আর চিনি মিশ্রিত হলে সেটা জমে যাবে।

৯। কিছু পরিমাণে ব্লটিং পেপার নেই। তারপর কয়েক ফোটা মধু দিন। যদি কাগজ সম্পন্ন ভাবে মধুটিকে শুষে নেয় তাহলে সেটি খাঁটি নয়।

১০। সামান্য পরিমাণে মধু নিয়ে এটি সাদা কাপড়ে মেখে দিন। আধা ঘন্টা পর পানি দিয়ে ধরে ফেলুন। যদি এতে দাগ থেকে যায় তাহলে বুঝতে পারবেন মধুটি খাঁটি নয়।

বর্তমান যুগে বিভিন্ন জিনিসের আসল নকল বোঝা বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে। অধিক মুনাফার আশায় একদল অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের নকল পণ্য বিক্রি করে থাকে। খাঁটি মধু চেনার উপায় গুলো জানা থাকলে আপনারা কখনোই এটিকে কিনে প্রতারিত হবেন না।