জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে কল এলে সতর্ক থাকার আহ্বান

- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল এলে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা সাধারণত এই নম্বরটিতে কল করে বিভিন্ন ধরনের জরুরী সার্ভিস নিয়ে থাকি। সম্প্রতি শোনা গিয়েছে যে এই নম্বরটি থেকে কল করে একদল প্রতারক বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের পিন নম্বর জানতে চাচ্ছে। আপনিও যদি এই নম্বর থেকে কল পেয়ে থাকেন এবং পিন নম্বর চাওয়া হয় তাহলে কখনোই সেগুলো শেয়ার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে কল দিয়ে কখনোই একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ইত্যাদির নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, ভিসা কার্ড ইত্যাদির ইনফরমেশন তথ্য চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সবার মাধ্যমে একজন নাগরিক তাদের চাহিদা মত পুলিশ ফায়ার সার্ভিস এম্বুলেন্স ইত্যাদি সার্ভিস চেয়ে থাকেন।
তিনি কোনভাবেই মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর তথ্য কারো সাথে শেয়ার না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমন কি ৯৯৯ থেকে কল দিয়ে যদি কোন প্রতারক এ ধরনের তথ্য চাই তাহলে তাদের তথ্য গুলি সাধারণ জনগণকে সংশ্লিষ্ট থানা বা কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে কল এলে সতর্ক থাকার আহ্বান
মাঝে মাঝে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদ মাধ্যমে দেখে থাকি যে প্রতারকরা কাস্টমার সার্ভিসের নাম করে মানুষদেরকে ঠকিয়ে থাকে। এরা মূলত বিভিন্ন নম্বর ক্লোন করে কিংবা কাস্টমার প্রতিনিধি সেজে একজন মানুষকে আকর্ষণীয় অফার, সার্ভিস সমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির কথা বলে পিন নম্বর, মোবাইলে পাঠানো ওটিপি ইত্যাদি চেয়ে থাকে।
তারপর সেই পিন এবং ওটিপি গুলো ব্যবহার করে একাউন্টে থাকা অর্থ গুলো হাতিয়ে নেয়। এ ধরনের ঘটনা আমরা ইতিমধ্যে অনেক শুনেছি। কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে কল দিয়ে এরকম ঘটনার কথা আর সাম্প্রতিক সময়ে শোনা যাচ্ছে।
এমনকি যে কোন সার্ভিসের অফিসিয়াল কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধিরাও পিন এবং এই ধরনের তথ্য গুলি কখনোই জানতে চায় না। এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত এই মোবাইল ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান গুলোর পক্ষ থেকে সতর্কতা প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের সচেতন মূলক ভিডিও প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
ব্যক্তিগত ব্যবসায়, চাকরি ইত্যাদি প্রয়োজনে আমরা প্রতিনিয়তই মোবাইল ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করছি। এতে করে ব্যাংকে যাওয়ার যেমন ঝামেলা নেই ঠিক তেমনিভাবে খুব সহজেই অর্থ ট্রান্সফার করা যায়। বর্তমানে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং এই বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে বেতনের অর্থ প্রদান করা হয়। তাই মানুষের এই অর্থ গুলি হাতিয়ে নিতে প্রতারকরা নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করছে। তারিখ ধারাবাহিকতায় ৯৯৯ থেকে কল দিয়ে এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড কার চালানোর চেষ্টা করছে।
তাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ৯৯৯ থেকে কল দিলে বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদির পিন বা অন্যান্য তথ্য গুলি শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।