ওজন কমানোর জন্য জিরা কিভাবে খাবেন
- আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪ বার পড়া হয়েছে
গ্রীষ্মের চাইতে শীতকালীন মৌসুমে আমাদের খাবার-দাবারের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। কারণ এই সময়টাতে বাজারে পাওয়া যায় শীতকালীন সবজি, খাল-বিল নদীর মাছ ইত্যাদি। এমনকি গ্রামে কিংবা শহরে পিঠা পায়েস সহ বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারও তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই এ সময়টাতে ওজন কমানো তো দূরে থাক বরং ওজন আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তবে যারা ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগছেন তারা জিরা খাওয়ার মাধ্যমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ওজন। চলুন সেই উপায় তুলি সম্পর্কে জেনে নেই।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমানোর উপায় হিসেবে জিরা
জিরা ও লেবু পানির পান করা
শুধুমাত্র জিরা খেলেই যে ওজন কমবে বিষয়টি তা নয়। জিয়ার সাথে লেবুর রস কিছুটা মিশিয়ে নিতে হবে। এতে করে কমবে ওজন। এর কারণ হচ্ছে লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি আমাদের ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এমনকি আমাদের শরীরের চর্বি জমতেও বাধা সৃষ্টি করে এই ভিটামিন সি।
এর জন্য ১ কাপ পানিতে কিছু পরিমাণে জিরা ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর সকালবেলা থেকে পানির সাথে কিছু পরিমাণে লেবুর রস মিশ্রিত করে নিন। এভাবে নিয়মিত পান করলে দেখবেন আপনার দেহের মেদ ঝড়েই পড়েছে।
জিরা ও আদা
আমরা ঠান্ডা জনিত যে কোন সমস্যার কারণে যার সাথে আদা খেয়ে থাকি। জনপ্রিয় এই মসলাটিতে সেরা যেমন রান্নাবান্নার কাজ সম্পন্ন করা যায় না ঠিক তেমনিভাবে এটাই আমাদের সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আবার আপনার জন্য অবাক হবেন যে আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেটি আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাইতো মেদবিহীন দেহ পাওয়ার জন্য ১ কাপ জিরা ভেজানোর সময় কিছু পরিমাণে আদা কুচি কুচি করে দিয়ে নিন। তারপর সকালে সেই পানি খেয়ে নিন। এভাবে অন্তত ৩ সপ্তাহ চেষ্টা করে দেখুন আপনার ওজন অনেকটাই কমে যাবে।
চায়ের সাথে জিরা
ওজন কমানোর জন্য আপনি চায়ের সাথে জিরা খেতে পারেন। তবে এর সাথে কিছু পরিমাণে লবঙ্গ এবং এলাচ মিশ্রিত করে দিল স্বাস্থ্যের জন্য বয়ে আনবে বেশ উপকার।
উপরের তো সকল উপাদান গুলি মিশ্রিত করার পর সেটির গরম পানিতে ফুটতে থাকুন। যখন এর কিছুটা রঙে পরিবর্তন হবে তখন সে কে নিয়ে খেয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন খেতে থাকুন দেখবেন আপনার অতিরিক্ত ওজন কমে গিয়েছে।
অতিরিক্ত ওজন কমানোর অন্যান্য উপায়
জিরার মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমাবেন সে সম্পর্কে হয়তো আপনাদের কিছুটা ধারণা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন ঝরানোর জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করুন এবং পানি পান করুন।
আপনাদের কারো যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান কিংবা অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে সেগুলো ত্যাগ করে দিন। মনে রাখবেন একটি সুস্থ দেহ এবং সুস্থ মনের জন্য সঠিক পরিমাণে ওজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা অনেকেই মনে করে সকালবেলা না খেয়ে থাকলে আমাদের দেহের ওজন কমতে থাকে। কিন্তু এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সকালবেলা দীর্ঘক্ষণ খালি পেরে থাকলে বরং সেটি পেটের জন্য ক্ষতিকর এবং ওজনও বেড়ে যেতে পারে। তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে যথাসম্ভব কিছু খেয়ে নিন।
রাতের বেলা কিছু পরিমাণে কম খাবার। কারণ রাতের বেলা ভর পেটে খেয়ে ঘুমানোর ফলে আমাদের শরীরের চর্বি জমতে থাকে। এমনকি হজম প্রক্রিয়ায় বেকার দেখা দিতে পারে। তাই ওজন কমানোর জন্য রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ১ থেকে ২ ঘন্টা আগে খাওয়ার অভ্যাস করুন। সেই সাথে রাতের বেলা ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো।
বাইরের ভাজাপোড়া তৈলাক্ত এবং জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার আমাদের ওজন সহজ বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত শাকসবজি মৌসুমের ফল ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। নিয়মিত জিরা খেতে পারেন। কারণ আমি আগে একবার আলোচনা করেছি জিরা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।
এছাড়াও আপনি বিশেষজ্ঞ নিউট্রিশনিস্টের থেকে ডায়েট চার্ট নিতে পারেন। তবে ইন্টারনেট হতে যথাযথ ডায়েট চার্ট কিংবা কোন ধরনের হারবাল জাতীয় মেডিসিন গ্রহণ করা একদম উচিত নয়। এতে করে ওজন তো কমবে না বরং আপনি দৈহিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।