কথা বলা গান শোনা ইত্যাদি কাজে আমরা প্রায়ই হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু দীর্ঘ সময় এই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাহলে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে হেডফোন এবং ইয়ারফোনের মধ্যে কোনটি ব্যবহার করার সবচাইতে ভালো।

সংক্ষেপে বলতে গেলে হেডফোন কিনবে ইয়ারফোন যেটি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করেন না কেন এতে কানে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। যা থেকে কান চুলকানো, কানে ভারী অনুভব করা ইত্যাদি হয়। এমনকি দীর্ঘদিন এই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করার কারণে শ্রবণ শক্তিও কমে আসতে পারে। আর আপনি যদি হেডফোনে উচ্চ শব্দের গান শুনে থাকেন তাহলে বিপদ অবধারিত।

তবে টানা কতদিন হেডফোন কিনবা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে আমাদের কান ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ব্যাপারে অনেকেই জানতে চান। এর সংক্ষেপে উত্তর হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ নেই। কারণ সবার কান এবং কানের পর্দার গঠন একরকম নয়। কারো কারো কানের পর্দা বেশ পুরো আবার কারো কারো তা বেশ পাতলা।

হেডফোন নাকি ইয়ারফোন কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

ইয়ারফোনে ব্যবহারে সাধারণত কানের ভেতর সরাসরি শব্দ প্রবেশ করে থাকে। আবার হেডফোন কানের সাথে ভালোভাবে এটা থাকে এবং কানের ভেতর পর্যন্ত এর কোন অংশ পৌঁছায় না। যার কারণ হেডফোন আমাদের কানের ভেতর কম নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

আবার ইয়ারফোন যেহেতু কানের ভেতরে অনেকটা প্রবেশ করিয়ে দিতে হয় তাই কানের যে ময়লা তৈরি হয় সেগুলো বাইরের দিকে সরে আসার প্রবণতায় বাঁধা রাখতে হয়। এভাবে ক্রমাগত চলতে গেলে আমাদের কানের ভিতরে ময়লা জমতে পারে এবং পরবর্তীতে এটি ভারী হয়ে যেতে পারে। এমনকি দীর্ঘদিন ইয়ারফোন ব্যবহার করার কারণে এভাবে ময়লা জমে পড়ে ভর্তিতে শব্দ হতে পারে। তাছাড়া ভবিষ্যতে জীবনের সংক্রমণ থেকে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। আবার ইয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে কানে বারবার ঘষা লাগে যদিও ক্ষতির কারণ।

তাহলে কোনটি ব্যবহার করবেন

আপনি হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন যার ব্যবহার করেন না কেন সেটি সীমিত ব্যবহার করা প্রয়োজন। কোন ধরনের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এগুলো না ব্যবহার করাই ভালো। আর জরুরী প্রয়োজনেও এগুলোতে শব্দের মাত্রা কমিয়ে গান শোনার কিংবা কথা বলা উচিত। তাছাড়া সব সময় মানসম্মত হেডফোন এবং ইয়ারফোন কেনার পাশাপাশি এগুলো নিয়মিত পরিস্কারের দিকে খেয়াল রাখা অত্যাবশ্যক।