সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩ বার পড়া হয়েছে

সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাসপোর্ট, ভিসা, বিদেশ ভ্রমণ ও সরকারী চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের পদ্ধতিটি তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ প্রদান হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

তিনি আজ ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এই তথ্যটি উপস্থাপন করেন। সরকারি চাকুরী, পাসপোর্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়রানি নিয়ে যে সকল অভিযোগ রয়েছে তার প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট কিংবা চাকুরী কোথাও এই প্রসেস থাকছে না। তিনি জানান প্রত্যেক নাগরিকেরই পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার আছে।

এছাড়াও যে সকল গভর্নমেন্ট জবে দলীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রমোশন সুবিধা দেয়া হয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়া প্রমোশনের সুযোগ দেয়া হবে না। যারা পরীক্ষা দিয়ে ৭০ পাবেন না তাদেরকে দেওয়া হবে না প্রমোশন। এমনকি আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য গুলো এর মাধ্যমে দূর হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যেকোনো ক্যাডারের যে কেউ যদি ৭০ পেয়ে থাকেন তাহলে প্রশাসন ক্যাডারে তিনি আসতে পারবেন।

কোন কোন সেক্টরে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয়

আমরা জানি সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এছাড়াও কেউ যদি বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট পেতে চান তাহলেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এমনকি বিগত যুগ যুগ ধরে এই প্রক্রিয়াটি চলে আসছে।

মূলত বিদেশ ভ্রমণকারী কিংবা সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন এমন ব্যক্তি কোন অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য বের করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর জন্য চাকুরী প্রত্যাশী কিংবা পাসপোর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তির এলাকা স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তিনি যে স্থানে বসবাস করেন সেই সকল এলাকা গুলোতে খোঁজখবর নেওয়া হয়। এমনকি তার নামে কোন ফৌজদারি অভিযোগ কিংবা মামলা আছে কিনা সে সম্পর্কেও তথ্য বের করা হয়। যার মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির নৈতিকতা এবং অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানা যায়।

কারণ অনেক মানুষই আছে যারা সরকারী চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিংবা বিদেশ যেতে চান অথচ তিনি বেশ গুরুতর কোন অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন। এ সকল প্রার্থী গুলোকে যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রে সরকার বাংলাদেশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কে দায়িত্ব প্রদান করেন।

কিন্তু নানা সময় এই পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে অনিয়ম সহ বিভিন্ন রকম অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছে। এমনকি হয়রানির ব্যাপারেও অনেকে অভিনয় অভিযোগ করেছেন। পরিশেষে পাসপোর্ট ও অন্যান্য সেক্টরসহ সরকারি চাকরি পুলিশ ভেরিফিকেশন সিস্টেম বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ

আপডেট সময় : ০২:৪৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পাসপোর্ট, ভিসা, বিদেশ ভ্রমণ ও সরকারী চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় এই পুলিশ ভেরিফিকেশনের পদ্ধতিটি তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ প্রদান হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

তিনি আজ ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এই তথ্যটি উপস্থাপন করেন। সরকারি চাকুরী, পাসপোর্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়রানি নিয়ে যে সকল অভিযোগ রয়েছে তার প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট কিংবা চাকুরী কোথাও এই প্রসেস থাকছে না। তিনি জানান প্রত্যেক নাগরিকেরই পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার আছে।

এছাড়াও যে সকল গভর্নমেন্ট জবে দলীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রমোশন সুবিধা দেয়া হয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়া প্রমোশনের সুযোগ দেয়া হবে না। যারা পরীক্ষা দিয়ে ৭০ পাবেন না তাদেরকে দেওয়া হবে না প্রমোশন। এমনকি আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য গুলো এর মাধ্যমে দূর হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যেকোনো ক্যাডারের যে কেউ যদি ৭০ পেয়ে থাকেন তাহলে প্রশাসন ক্যাডারে তিনি আসতে পারবেন।

কোন কোন সেক্টরে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হয়

আমরা জানি সরকারি চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এছাড়াও কেউ যদি বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট পেতে চান তাহলেও এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এমনকি বিগত যুগ যুগ ধরে এই প্রক্রিয়াটি চলে আসছে।

মূলত বিদেশ ভ্রমণকারী কিংবা সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন এমন ব্যক্তি কোন অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য বের করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এর জন্য চাকুরী প্রত্যাশী কিংবা পাসপোর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তির এলাকা স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং তিনি যে স্থানে বসবাস করেন সেই সকল এলাকা গুলোতে খোঁজখবর নেওয়া হয়। এমনকি তার নামে কোন ফৌজদারি অভিযোগ কিংবা মামলা আছে কিনা সে সম্পর্কেও তথ্য বের করা হয়। যার মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির নৈতিকতা এবং অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানা যায়।

কারণ অনেক মানুষই আছে যারা সরকারী চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিংবা বিদেশ যেতে চান অথচ তিনি বেশ গুরুতর কোন অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছেন। এ সকল প্রার্থী গুলোকে যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রে সরকার বাংলাদেশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কে দায়িত্ব প্রদান করেন।

কিন্তু নানা সময় এই পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে অনিয়ম সহ বিভিন্ন রকম অভিযোগের কথা শোনা গিয়েছে। এমনকি হয়রানির ব্যাপারেও অনেকে অভিনয় অভিযোগ করেছেন। পরিশেষে পাসপোর্ট ও অন্যান্য সেক্টরসহ সরকারি চাকরি পুলিশ ভেরিফিকেশন সিস্টেম বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে।