নারীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলি কি কি
- আপডেট সময় : ১০:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
যদি কারো ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায় কিংবা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যায় তাহলে সবার আগে চিনে যুক্ত খাবার পরিহার করা প্রয়োজন। তবে চিনি কিংবা শর্করা অন্যান্য খাবারগুলোতেও থেকে থাকে। তাই সুগার জাতীয় খাবার পরিহার করে রুটি, লাল চাল এবং লাল আটা খাওয়া ভালো।
নারীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলি কি কি
১। প্রথমেই যে লক্ষণটি প্রকাশ পায় তা হচ্ছে অতিরিক্ত পস্রাব পাওয়া এবং পিপাসার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। কারণ ডায়াবেটিস হলে আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর যেহেতু কিডনি আমাদের শরীরের সমস্ত দূষিত পদার্থ পরিশোধ করে তাই কিডনির উপর চাপও পড়ে যায়। আবার ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। যার কারণে ঘনঘন পিপাসা পাওয়া ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম।
২। নারীদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং অনিয়মিত পিরিয়ড দেখা দেয়। এমনকি হঠাৎ করে ওজনও বৃদ্ধি পেতে পারে। যার থেকে পরবর্তীতে ওভারি সিনড্রোমের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৩। নারীদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ত্বকে চুলকানি এবং ফাঙ্গালের আক্রমণ। যার কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালো দাগ পড়তে পারে।
৪। ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগালের আক্রমণের কারণে সংক্রমণ এবং চুলকানিও দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস হলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। যার কারণে অসুখ কিংবা শরীরের কোন জায়গায় আঘাত পেলে সেটি ভালো হতে বেশ সময় লাগে।
এই লক্ষণ গুলো কোন নারীদের মধ্যে দেখতে পান তাহলে উঠে দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস সুস্থ জীবন যাপন ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকি চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে একদমই সুস্থ জীবন যাপন করা কঠিন কিছু নয়।
তবে নিয়মিত হাঁটাচলা করা শারীরিক পরিশ্রম করা, ব্যায়াম করা, শাকসবজি খাওয়া ইত্যাদির মাধ্যম ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়। যাবে কিনা সারাদিন বাসায় অলস সময় কাটা কিংবা তেমন কোনো শারীরিক পরিশ্রম করেন না তাদেরকে তো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সবচাইতে বেশি। আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা আছে যে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খেলে শুধু মাত্র ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে অলস জীবনযাপনের কারণে এটি সবচাইতে বেশি পরিমাণে হয়। লক্ষণ গুলো জেনে রাখা ভালো। যাতে করে যে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।