নাম্বার ঠিক রেখে কিভাবে সিম অপারেটর পরিবর্তন করবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

নাম্বার ঠিক রেখে কিভাবে সিম অপারেটর পরিবর্তন

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সিম অপারেটর গুলি খুবই উন্নত মানের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। তবুও আপনার ব্যবহার করা সিমটিতে কাঙ্খিত অফার, কলরেট, ইন্টারনেট অফার অন্যান্য সুবিধা পর্যাপ্ত নাও থাকতে পারে। তাইতো আমরা নাম্বার ঠিক রেখে সিম অপারেটর পরিবর্তন করতে পারি। এই পদ্ধতিকে বলা হয় এমএনপি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি যেকোন প্রতিষ্ঠানের অফার গুলো উপভোগ করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি একটি জিপি নম্বর ব্যবহার করছেন। তাইতো গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের অধীনে যত রকম সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনার এলাকায় এয়ারটেল এর নেটওয়ার্ক ভালো এবং আপনি এয়ারটেল এর সুবিধা গুলি নিতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সিম অপারেটর পরিবর্তন করার মাধ্যমেই এয়ারটেলের সুবিধা উপভোগ করা যায়। এর জন্য আপনাকে জিপির নম্বরটি পরিবর্তন করতে হবে না এমনকি নতুন করে সিম ও ক্রয় করতে হবে না।

ফোন নাম্বার ঠিক রেখে সিম অপারেটর পরিবর্তন করার জন্য কি কি প্রয়োজন

• যার ভোটার আইডি কার্ড এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে সিম কার্ডটি ক্রয় করা হয়েছিল তাকে উপস্থিত থাকতে হবে।

• অপারেটর ভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

• যেই সিমটির অপারেটর পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন সেটি সাথে রাখতে হবে।

সিম অপারেটর পরিবর্তন করার পদ্ধতি

যেক সিম অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার অফিসে গিয়েই আপনি এই ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ধরুন আপনি জিপি থেকে এয়ারটেলে পরিবর্তিত হতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনাকে airtel সিমের কাস্টমার অফিসে যেতে হবে।

আবার ধরুন আপনি বাংলালিংক সিম থেকে টেলিটক এ পরিবর্তিত হতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে আপনাকে টেলিটকের কাস্টমার অফিসে যেতে হবে। আর সাথে উপরোক্ত উল্লেখিত কাগজগুলো তো লাগবেই।

বর্তমানে কাস্টমার কেয়ার অর্থাৎ হেল্পলাইনে কল করেও এ সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য গুলি আপনি জানতে পারবেন। তবে সবচাইতে ভালো হয় নিকটস্থ কাস্টমার সার্ভিস অফিসে গেলে। এতে করে আপনি অল্প সময় এবং সামান্য কিছু ফি দিয়ে এই সিম অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। এমনকি কিছুদিন পরে আবার পূর্বের অপারেটরও ফেরত আসার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ মাস এবং সিম অপারেটর বেদে বিভিন্ন সময় অপেক্ষা করতে হয়।

আপনি যখন একটি সিম থেকে আরেকটি সিম অপারেটরে পরিবর্তিত হবেন তখন আপনার বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট গুলো ঠিকই থাকবে। এক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন করতে হবে না কিংবা অসুবিধা দেখা দিবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

নাম্বার ঠিক রেখে কিভাবে সিম অপারেটর পরিবর্তন করবেন

আপডেট সময় : ১১:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের সিম অপারেটর গুলি খুবই উন্নত মানের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। তবুও আপনার ব্যবহার করা সিমটিতে কাঙ্খিত অফার, কলরেট, ইন্টারনেট অফার অন্যান্য সুবিধা পর্যাপ্ত নাও থাকতে পারে। তাইতো আমরা নাম্বার ঠিক রেখে সিম অপারেটর পরিবর্তন করতে পারি। এই পদ্ধতিকে বলা হয় এমএনপি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি যেকোন প্রতিষ্ঠানের অফার গুলো উপভোগ করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি একটি জিপি নম্বর ব্যবহার করছেন। তাইতো গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের অধীনে যত রকম সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আপনার এলাকায় এয়ারটেল এর নেটওয়ার্ক ভালো এবং আপনি এয়ারটেল এর সুবিধা গুলি নিতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সিম অপারেটর পরিবর্তন করার মাধ্যমেই এয়ারটেলের সুবিধা উপভোগ করা যায়। এর জন্য আপনাকে জিপির নম্বরটি পরিবর্তন করতে হবে না এমনকি নতুন করে সিম ও ক্রয় করতে হবে না।

ফোন নাম্বার ঠিক রেখে সিম অপারেটর পরিবর্তন করার জন্য কি কি প্রয়োজন

• যার ভোটার আইডি কার্ড এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে সিম কার্ডটি ক্রয় করা হয়েছিল তাকে উপস্থিত থাকতে হবে।

• অপারেটর ভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

• যেই সিমটির অপারেটর পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন সেটি সাথে রাখতে হবে।

সিম অপারেটর পরিবর্তন করার পদ্ধতি

যেক সিম অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার অফিসে গিয়েই আপনি এই ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ধরুন আপনি জিপি থেকে এয়ারটেলে পরিবর্তিত হতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আপনাকে airtel সিমের কাস্টমার অফিসে যেতে হবে।

আবার ধরুন আপনি বাংলালিংক সিম থেকে টেলিটক এ পরিবর্তিত হতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে আপনাকে টেলিটকের কাস্টমার অফিসে যেতে হবে। আর সাথে উপরোক্ত উল্লেখিত কাগজগুলো তো লাগবেই।

বর্তমানে কাস্টমার কেয়ার অর্থাৎ হেল্পলাইনে কল করেও এ সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য গুলি আপনি জানতে পারবেন। তবে সবচাইতে ভালো হয় নিকটস্থ কাস্টমার সার্ভিস অফিসে গেলে। এতে করে আপনি অল্প সময় এবং সামান্য কিছু ফি দিয়ে এই সিম অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। এমনকি কিছুদিন পরে আবার পূর্বের অপারেটরও ফেরত আসার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩ মাস এবং সিম অপারেটর বেদে বিভিন্ন সময় অপেক্ষা করতে হয়।

আপনি যখন একটি সিম থেকে আরেকটি সিম অপারেটরে পরিবর্তিত হবেন তখন আপনার বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট গুলো ঠিকই থাকবে। এক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন করতে হবে না কিংবা অসুবিধা দেখা দিবে না।