আপনি কি জানেন ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি কি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে

ঘি খাওয়ার উপকারিতা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি কে বলা হয় সুপার ফুড। এর উপকারিতা অনেক রয়েছে। গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে, রান্না, কফি ইত্যাদির সাথেও এটি খাওয়া যেতে পারে। চলুন এর নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জেনে নেই।

যাদের কিনা হজমের সমস্যা রয়েছে তারা ঘি খেতে পারেন। কারণ এটি আমাদের পাকস্থলীর এসিডের উৎপাদনের পরিমাণকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।। আর এই অতিরিক্ত অ্যাসিড খাদ্যকণাকে ভাঙতে এবং পুষ্টির শোষণ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার কারণে ঘি খেলে বৃদ্ধি পায় হজম শক্তি।

ঘি খাওয়ার উপকারিতার গুলোর মধ্যে আরও একটি হচ্ছে শক্তি যোগায়। আপনি যদি দিনের শুরুতে কিছু পরিমাণে ঘি খেয়ে থাকেন তাহলে প্রচুর শক্তি উৎপাদিত হয়। সেই সাথে কাজে আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করতেও সহযোগিতা করে।

ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি কি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ঘি তে রয়েছে লিনোলিক অ্যাসিড। এটি মূলত আমাদের দেহের স্থূলতার বিরুদ্ধে কাজ করে। অর্থাৎ যারা কিনা ওজন কমাতে চান এবং শরীরের চর্বির ঝরাতে চান তাদের জন্য এটি কার্যকরী। অনেক বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদেরাও ডায়েটে এই উপাদানটি অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন।

• আমাদের মস্তিষ্কের কোষ গুলো বিকাশের জন্য প্রয়োজন ভালো ফ্যাট। এই খাদ্য উপাদানে প্রয়োজনীয় ফ্যাট রয়েছে যা আমাদের ব্রেনকে অনেক বেশি উন্নত করতে সাহায্য করে। এর আমিষ উপাদান গুলি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার কে গঠন করতে সহায়তা করে। ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক স্বচ্ছতাও বাড়ে।

• সুস্থ থাকার জন্য আমাদের দেহের প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেশি এবং খাঁটি ঘি’য়ে রয়েছে বিউটারিক অ্যাসিড। যেটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ও রোগ হতে দেহকে বাঁচিয়ে নেয়। এমনকি দেহ থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় ঘি এর উপকারিতা

মানব শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিপাকীয় প্রক্রিয়া। কোন কারনে যদি এই হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত হয় তাহলে শরীরের নানা ধরনের অসুখ পরিলক্ষিত হয়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া বৃদ্ধি পাওয়া মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ইত্যাদি। তাই হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় নিয়মিত খালি পেটে ঘি খেতে পারেন।

• এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে থাকার কারণে ত্বকের পুষ্টি যোগায়। এর ফলে আমাদের দেহের স্কিন থাকে অনেক ভালো এবং ত্বকও হয় অনেক উজ্জ্বল। নিয়মিত খালি পেটে ঘি খাওয়ার ফলে বার্ধক্য জনিত দাগ দূর হয়ে যায়।

• ঘি তে রয়েছে ওমেগা ৩, ফ্যাট, ভিটামিন কে ইত্যাদি। এগুলি দেহের আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে পারে।

উপসংহার

ঘি খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে আরো হচ্ছে এটি একটি প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হিসেবেও কাজ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের খালি পেটে সকালবেলা ঞি খেলে এটি দূর হয়ে যায়।

তবে এটি একসাথে অনেক পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। একদিনের জন্য এক চামচে যথেষ্ট। এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আর অবশ্যই কেনার সময় সেটি আসল নাকি ভেজাল মেশানো সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

স্বামী স্ত্রীর মধ্য বয়সের পার্থক্য কত হলে ভালো হয়? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

আপনি কি জানেন ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি কি

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি কে বলা হয় সুপার ফুড। এর উপকারিতা অনেক রয়েছে। গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে, রান্না, কফি ইত্যাদির সাথেও এটি খাওয়া যেতে পারে। চলুন এর নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জেনে নেই।

যাদের কিনা হজমের সমস্যা রয়েছে তারা ঘি খেতে পারেন। কারণ এটি আমাদের পাকস্থলীর এসিডের উৎপাদনের পরিমাণকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।। আর এই অতিরিক্ত অ্যাসিড খাদ্যকণাকে ভাঙতে এবং পুষ্টির শোষণ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার কারণে ঘি খেলে বৃদ্ধি পায় হজম শক্তি।

ঘি খাওয়ার উপকারিতার গুলোর মধ্যে আরও একটি হচ্ছে শক্তি যোগায়। আপনি যদি দিনের শুরুতে কিছু পরিমাণে ঘি খেয়ে থাকেন তাহলে প্রচুর শক্তি উৎপাদিত হয়। সেই সাথে কাজে আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করতেও সহযোগিতা করে।

ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি কি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ঘি তে রয়েছে লিনোলিক অ্যাসিড। এটি মূলত আমাদের দেহের স্থূলতার বিরুদ্ধে কাজ করে। অর্থাৎ যারা কিনা ওজন কমাতে চান এবং শরীরের চর্বির ঝরাতে চান তাদের জন্য এটি কার্যকরী। অনেক বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদেরাও ডায়েটে এই উপাদানটি অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন।

• আমাদের মস্তিষ্কের কোষ গুলো বিকাশের জন্য প্রয়োজন ভালো ফ্যাট। এই খাদ্য উপাদানে প্রয়োজনীয় ফ্যাট রয়েছে যা আমাদের ব্রেনকে অনেক বেশি উন্নত করতে সাহায্য করে। এর আমিষ উপাদান গুলি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার কে গঠন করতে সহায়তা করে। ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক স্বচ্ছতাও বাড়ে।

• সুস্থ থাকার জন্য আমাদের দেহের প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেশি এবং খাঁটি ঘি’য়ে রয়েছে বিউটারিক অ্যাসিড। যেটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন ও রোগ হতে দেহকে বাঁচিয়ে নেয়। এমনকি দেহ থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।

হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় ঘি এর উপকারিতা

মানব শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিপাকীয় প্রক্রিয়া। কোন কারনে যদি এই হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত হয় তাহলে শরীরের নানা ধরনের অসুখ পরিলক্ষিত হয়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া বৃদ্ধি পাওয়া মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ইত্যাদি। তাই হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় নিয়মিত খালি পেটে ঘি খেতে পারেন।

• এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে থাকার কারণে ত্বকের পুষ্টি যোগায়। এর ফলে আমাদের দেহের স্কিন থাকে অনেক ভালো এবং ত্বকও হয় অনেক উজ্জ্বল। নিয়মিত খালি পেটে ঘি খাওয়ার ফলে বার্ধক্য জনিত দাগ দূর হয়ে যায়।

• ঘি তে রয়েছে ওমেগা ৩, ফ্যাট, ভিটামিন কে ইত্যাদি। এগুলি দেহের আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে পারে।

উপসংহার

ঘি খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে আরো হচ্ছে এটি একটি প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হিসেবেও কাজ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের খালি পেটে সকালবেলা ঞি খেলে এটি দূর হয়ে যায়।

তবে এটি একসাথে অনেক পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। একদিনের জন্য এক চামচে যথেষ্ট। এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আর অবশ্যই কেনার সময় সেটি আসল নাকি ভেজাল মেশানো সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

স্বামী স্ত্রীর মধ্য বয়সের পার্থক্য কত হলে ভালো হয়? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।