ছোট শিশুদের দাঁত ব্রাশ করাবেন কিভাবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩ বার পড়া হয়েছে

ছোট শিশুদের দাঁত ব্রাশ করাবেন কিভাবে

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সব বয়সের মানুষের কাছরই দাঁত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু শিশুদের কত বছর বয়স থেকে দান ব্রাশ করানো উচিত এবং সেটি কিভাবে পরিষ্কার করে যায় সে ব্যাপারে অনেকেই অজানা। এটি মূলত নির্ভর করে বাচ্চার বয়স, কতটুকু দাঁত গজিয়েছে এবং তার নিজস্ব কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে তার উপর।

যদি সময় মতো এবং নিয়মিত ভালোভাবে দাঁত এবং মাড়ি গুলো পরিষ্কার করে না দেওয়া যায় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা, তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য বিরূপ প্রভাব তৈরি করতে পারে। কারণ মুখের ভেতর দাঁত যদি ঠিক না থাকে তাহলে খাওয়াসহ নানা ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন ছোট শিশুর কত বছর বয়স থেকে দাঁত ব্রাশ করানো উচিত এবং কিভাবে এই নিয়মগুলি অনুসরণ করবেন।

শুরু থেকেই দাঁতের পরিচর্যা

মূলত ৬ মাস বয়স বা যখন থেকে শিশুর দাঁত গজানোর শুরু করে তখন থেকেই এটির পরিচর্যা করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রাশ না করানো গেলেও নরম কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে এটি মুছে দিতে পারেন।

আবার ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ব্রিসেলযুক্ত বিশেষ ব্রাশ ব্যবহার করুন। আর বেবি পেস্ট কিংবা বড়দের পেস্ট খুবই সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতোই বাচ্চাদেরও দিনে অন্তত ২বার ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

শিশুর বয়স যখন ৩ থেকে ৬ বছর

এই বয়সে শিশুদের জন্য মটর দানার সমপরিমাণ টুথপেস্ট নিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করে দিতে পারেন। তবে এ সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যেন সেটি পেটের ভিতরে না চলে যায়। কারণ বাচ্চারা সাধারণত টুথপেস্টের টেস্ট বা এ জাতীয় কোন কিছু মুখে দিলেই গিলে ফেলে। তাই আপনি নিজে থেকে দাঁত গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিন।

শিশুদের দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে অন্যান্য সচেতনতা

আপনি ছোট্ট সোনামনিকে ততদিন পর্যন্ত ব্রাশ করে দিবেন যতদিন না পর্যন্ত সে ভালোভাবে শিখতে পারছে। এর জন্য বাজার থেকে ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট কিনে আনতে পারেন। আর বাচ্চারা যদি পছন্দ করে তাহলে বেবি পেস্টও ক্রয় করতে পারেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একবার এবং রাতে খাবারের পরে একবার অবশ্যই এই অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। এছাড়া ওর নিচে উল্লেখিত সচেতনতা গুলো অনুসরণ করুন।

• আপনার বাচ্চার যখন দাঁত গজাবে তখন একবার ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন। এতে করে যদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার থাকে তাহলে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়ে দেবেন।

• সাধারণত শিশুদের দাঁত গজানোর শুরু থেকেই যদি এর সঠিক পরিচর্যা করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে দাঁতের সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।

• শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েরই ব্রাশ নরম হওয়া উচিত। এতে করে মাড়িও ভালো থাকে এবং দাঁতেও আঘাত লাগে না।

• যদি কোন কারণে দাঁত ভেঙে যায় কিংবা রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবারের কারণে বড় এবং শিশু উভয়ের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার দোনা এবং দাঁত উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তাই শিশুর সঠিক বয়স থেকে দাঁত ব্রাশ করার এবং যত্ন নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

ছোট শিশুদের দাঁত ব্রাশ করাবেন কিভাবে

আপডেট সময় : ০৪:১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সব বয়সের মানুষের কাছরই দাঁত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু শিশুদের কত বছর বয়স থেকে দান ব্রাশ করানো উচিত এবং সেটি কিভাবে পরিষ্কার করে যায় সে ব্যাপারে অনেকেই অজানা। এটি মূলত নির্ভর করে বাচ্চার বয়স, কতটুকু দাঁত গজিয়েছে এবং তার নিজস্ব কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে তার উপর।

যদি সময় মতো এবং নিয়মিত ভালোভাবে দাঁত এবং মাড়ি গুলো পরিষ্কার করে না দেওয়া যায় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা, তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য বিরূপ প্রভাব তৈরি করতে পারে। কারণ মুখের ভেতর দাঁত যদি ঠিক না থাকে তাহলে খাওয়াসহ নানা ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন ছোট শিশুর কত বছর বয়স থেকে দাঁত ব্রাশ করানো উচিত এবং কিভাবে এই নিয়মগুলি অনুসরণ করবেন।

শুরু থেকেই দাঁতের পরিচর্যা

মূলত ৬ মাস বয়স বা যখন থেকে শিশুর দাঁত গজানোর শুরু করে তখন থেকেই এটির পরিচর্যা করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রাশ না করানো গেলেও নরম কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে এটি মুছে দিতে পারেন।

আবার ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য ব্রিসেলযুক্ত বিশেষ ব্রাশ ব্যবহার করুন। আর বেবি পেস্ট কিংবা বড়দের পেস্ট খুবই সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতোই বাচ্চাদেরও দিনে অন্তত ২বার ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

শিশুর বয়স যখন ৩ থেকে ৬ বছর

এই বয়সে শিশুদের জন্য মটর দানার সমপরিমাণ টুথপেস্ট নিয়ে ধীরে ধীরে ব্রাশ করে দিতে পারেন। তবে এ সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যেন সেটি পেটের ভিতরে না চলে যায়। কারণ বাচ্চারা সাধারণত টুথপেস্টের টেস্ট বা এ জাতীয় কোন কিছু মুখে দিলেই গিলে ফেলে। তাই আপনি নিজে থেকে দাঁত গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিন।

শিশুদের দাঁত ব্রাশ করার ক্ষেত্রে অন্যান্য সচেতনতা

আপনি ছোট্ট সোনামনিকে ততদিন পর্যন্ত ব্রাশ করে দিবেন যতদিন না পর্যন্ত সে ভালোভাবে শিখতে পারছে। এর জন্য বাজার থেকে ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট কিনে আনতে পারেন। আর বাচ্চারা যদি পছন্দ করে তাহলে বেবি পেস্টও ক্রয় করতে পারেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে একবার এবং রাতে খাবারের পরে একবার অবশ্যই এই অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। এছাড়া ওর নিচে উল্লেখিত সচেতনতা গুলো অনুসরণ করুন।

• আপনার বাচ্চার যখন দাঁত গজাবে তখন একবার ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন। এতে করে যদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার থাকে তাহলে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দিয়ে দেবেন।

• সাধারণত শিশুদের দাঁত গজানোর শুরু থেকেই যদি এর সঠিক পরিচর্যা করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে দাঁতের সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।

• শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েরই ব্রাশ নরম হওয়া উচিত। এতে করে মাড়িও ভালো থাকে এবং দাঁতেও আঘাত লাগে না।

• যদি কোন কারণে দাঁত ভেঙে যায় কিংবা রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবারের কারণে বড় এবং শিশু উভয়ের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার দোনা এবং দাঁত উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তাই শিশুর সঠিক বয়স থেকে দাঁত ব্রাশ করার এবং যত্ন নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।