নাক ডাকা বন্ধ করার সহজ পদ্ধতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় কি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারাদিন শেষে আমাদের সবারই ইচ্ছে থাকে একটানা ঘুম দেওয়ার। কিন্তু পাশের ঘরের কিংবা পাশের মানুষের কাছ থেকে যদি শ্বাস প্রশ্বাসের বিশাল আওয়াজ আসে তাহলে সেই ঘুমের বারোটা বেজে যায়। আর যদি এই নাক ডাকা বন্ধের উপায় আপনার জানা থাকে তাহলে সেটা অবলম্বন করে ঘুমকে আরো প্রশান্তিময় করে তুলুন। কারণ রাতের রাতের বেলা ঘুমের মধ্যেও এউ শব্দ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে ঘুমের একেবারে দফারকা।

যিনি নাক ডাকেন তিনি সাধারণত সেটি বুঝতে পারেন না। ডাক্তাররা বলে থাকেন নাক ডাকা খুব একটি সাধারণ বিষয় হলেও অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় গুরুতর রোগের আলামত হিসেবে প্রকাশ পায়। লন্ডনের দ্যা প্রাইভেট ক্লিনিকের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিম্নে আমি কিছু উপায় উপস্থাপন করলাম।

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় কি

প্রথমেই আপনাকে অ্যালকোহল, মদ ইত্যাদি জাতীয় পানি গুলো পরিহার করতে হবে। কারণ অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় গুলি আমাদের জিহ্বার পেশি গুলোকে শিথিল করে দেয়। যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে নালী গুলো আস্তে আস্তে চিকন হয়ে পড়ে এবং নাক ডাকার সমস্যা শুরু হয়। সুস্থ থাকার জন্য অ্যালকোহল পরিহার করুন। এছাড়াও নিম্নোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন:

ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ

সুস্বাস্থ্যের জন্য ধূমপান কখনোই ভালো নয়। এর ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগ, হার্টের রোগ, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি জটিলতা তৈরি হয়। আমাদের নাকের ভেতর এক ধরনের টিস্যু রয়েছে যেটার নাম হচ্ছে টারবাইনেটস। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে টারবাইনেটস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় জোরে জোরে শব্দ হয়।

অতিরিক্ত চর্বি এবং মসলা জাতীয় খাবার পরিহার

খাবারে যদি বেশি পরিমাণে মসলা এবং চর্বি ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটি পাকস্থলী থেকে এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আপনার যদি অন্যান্য শারীরিক রোগ বা সমস্যা না থাকে তাহলে এই মসলাদার খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওজন কমানো। সাধারণ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের দেহের ওজনের পরিমাণ অনেক বেশি তারাই নাক বেশি ডাকে। এছাড়াও উচ্চতা এবং বয়সের তুলনায় অভার ওয়েট কখনোই ভালো নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণে আনুন।

ঘুমানোর ভঙ্গি বদলান

যদি চিৎ হয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো। উপর হয়ে ঘুমানো ভালো নয়।

ঘুমানোর বিছানা নিয়মিত পরিষ্কার করুন

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় হিসেবে ঘুমানোর বিছানা পরিষ্কার করার বিষয়টি আপনাদের কাছে আশ্চর্য মনে হতে পারে। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে এটিও একটি কারণ। বিছানায় লেগে থাকা বিভিন্ন ধরনের ধুলাবালি জীবনের কারণে আমাদের নাকের সমস্যা হতে পারে।

নাক ডাকা বন্ধ করার অন্যান্য স্থায়ী সমাধান

চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার আগে এটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি যে আপনার সমস্যা নাকে নাকি গলায়। অনেক সময় গলার সমস্যার কারণেও উচ্চ আওয়াজ হতে পারে ঘুমানোর সময়। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে ড্রপ কিংবা গলার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

আর যদি এই ধরনের ঘরোয়া উপায় গুলি অবলম্বন করে কোন সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই স্থায়ী সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে সবচাইতে উত্তম হচ্ছে একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের কাছে যাওয়া। গুরুতরাও সমস্যার ক্ষেত্রে মেডিসিন কিংবা অপারেশনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

নাক ডাকা বন্ধ করার সহজ পদ্ধতি

আপডেট সময় : ০১:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সারাদিন শেষে আমাদের সবারই ইচ্ছে থাকে একটানা ঘুম দেওয়ার। কিন্তু পাশের ঘরের কিংবা পাশের মানুষের কাছ থেকে যদি শ্বাস প্রশ্বাসের বিশাল আওয়াজ আসে তাহলে সেই ঘুমের বারোটা বেজে যায়। আর যদি এই নাক ডাকা বন্ধের উপায় আপনার জানা থাকে তাহলে সেটা অবলম্বন করে ঘুমকে আরো প্রশান্তিময় করে তুলুন। কারণ রাতের রাতের বেলা ঘুমের মধ্যেও এউ শব্দ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে ঘুমের একেবারে দফারকা।

যিনি নাক ডাকেন তিনি সাধারণত সেটি বুঝতে পারেন না। ডাক্তাররা বলে থাকেন নাক ডাকা খুব একটি সাধারণ বিষয় হলেও অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় গুরুতর রোগের আলামত হিসেবে প্রকাশ পায়। লন্ডনের দ্যা প্রাইভেট ক্লিনিকের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিম্নে আমি কিছু উপায় উপস্থাপন করলাম।

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় কি

প্রথমেই আপনাকে অ্যালকোহল, মদ ইত্যাদি জাতীয় পানি গুলো পরিহার করতে হবে। কারণ অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় গুলি আমাদের জিহ্বার পেশি গুলোকে শিথিল করে দেয়। যার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে নালী গুলো আস্তে আস্তে চিকন হয়ে পড়ে এবং নাক ডাকার সমস্যা শুরু হয়। সুস্থ থাকার জন্য অ্যালকোহল পরিহার করুন। এছাড়াও নিম্নোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন:

ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ

সুস্বাস্থ্যের জন্য ধূমপান কখনোই ভালো নয়। এর ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগ, হার্টের রোগ, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি জটিলতা তৈরি হয়। আমাদের নাকের ভেতর এক ধরনের টিস্যু রয়েছে যেটার নাম হচ্ছে টারবাইনেটস। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে টারবাইনেটস ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় জোরে জোরে শব্দ হয়।

অতিরিক্ত চর্বি এবং মসলা জাতীয় খাবার পরিহার

খাবারে যদি বেশি পরিমাণে মসলা এবং চর্বি ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটি পাকস্থলী থেকে এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আপনার যদি অন্যান্য শারীরিক রোগ বা সমস্যা না থাকে তাহলে এই মসলাদার খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওজন কমানো। সাধারণ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদের দেহের ওজনের পরিমাণ অনেক বেশি তারাই নাক বেশি ডাকে। এছাড়াও উচ্চতা এবং বয়সের তুলনায় অভার ওয়েট কখনোই ভালো নয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণে আনুন।

ঘুমানোর ভঙ্গি বদলান

যদি চিৎ হয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে পারেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো। উপর হয়ে ঘুমানো ভালো নয়।

ঘুমানোর বিছানা নিয়মিত পরিষ্কার করুন

নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় হিসেবে ঘুমানোর বিছানা পরিষ্কার করার বিষয়টি আপনাদের কাছে আশ্চর্য মনে হতে পারে। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে এটিও একটি কারণ। বিছানায় লেগে থাকা বিভিন্ন ধরনের ধুলাবালি জীবনের কারণে আমাদের নাকের সমস্যা হতে পারে।

নাক ডাকা বন্ধ করার অন্যান্য স্থায়ী সমাধান

চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার আগে এটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি যে আপনার সমস্যা নাকে নাকি গলায়। অনেক সময় গলার সমস্যার কারণেও উচ্চ আওয়াজ হতে পারে ঘুমানোর সময়। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে ড্রপ কিংবা গলার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

আর যদি এই ধরনের ঘরোয়া উপায় গুলি অবলম্বন করে কোন সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই স্থায়ী সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় গুলোর মধ্যে সবচাইতে উত্তম হচ্ছে একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের কাছে যাওয়া। গুরুতরাও সমস্যার ক্ষেত্রে মেডিসিন কিংবা অপারেশনের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করা উচিত।