পুরাতন এবং রিফারবিশড ফোনের মধ্যে তফাৎ কি

- আপডেট সময় : ০৭:০২:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পড়া হয়েছে
অনেক সময় বাজেট কম থাকার কারণে আমরা রিফারবিশড অথবা পুরাতন ফোন কিনে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই দুইটি মধ্য পার্থক্য কি। গুগল পিক্সেল, স্যামসাং, আইফোন ইত্যাদি নামিদামি ব্রান্ডের ফ্লাগশিপ ফোন গুলো নতুন কেনা আমাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয় না। কিন্তু তারপরেও পছন্দের কারণে কম বাজেটে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের দিকে আমরা ঝুঁকে থাকব।
বাংলাদেশের বড় বড় শপিং মল যেমন যমুনা, বসুন্ধরা, ইত্যাদিতে রিফারবিশড ও পুরাতন মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। অনেক ক্রেতারা এগুলোকে কিনেও থাকেন। কারণ প্রায় অর্ধেক বা তার কাছাকাছি দামে ভালো ভালো ফোন পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ফোনের কন্ডিশনই অনেক ভালো থাকে। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া এ সকল ফোন গুলি কেনার পর কিছুদিন ব্যবহার করে পুনরায় বিক্রি করে নতুন ফোন নেওয়ার মতো সুবিধা রয়েছে।
গ্রাহকদের আগ্রহের কারণেই রিফারবিশড ফোনের চাহিদা এবং যোগান কোনোটি কখনোই কমেনা। এই ক্ষেত্রে দুটি অপশন দিয়ে থাকে দোকানদারেরা।
যার মধ্যে একটি হচ্ছে রিফারবিশড এবং অপরটি হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল। চলুন এই দুইয়ের মধ্যে কি কি তফাৎ রয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেই।
রিফারবিশড ফোন কি
একজন গ্রাহক যখন নতুন কোন ডিভাইস কিনে থাকেন তখন সেটির সাথে ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়ে থাকে। সেই ওয়ারেন্টির সময়ের মধ্যে যদি ডিভাইসটিতে কোন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দেয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি ত্রুটি বা সমস্যা গুলো সমাধান করে রিফারবিশড নাম দিয়ে তুলনামূলকভাবে কম দামে মার্কেটে বিক্রির জন্য অফার করেন।
আবার মাঝে মাঝেই দেখে থাকবেন ফোন কোম্পানি গুলো অফার দিয়েছে পুরাতন ফোন জমা দিয়ে নতুন মডেলের ফোন নেওয়ার। গ্রাহকরা সেই অফারে যে মোবাইল গুলো জমা দেয় সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং নানা ধরনের গুণগত পরিবর্তন করে রিফারবিশড ট্যাগ দিয়ে বিক্রি করা হয়।
অর্থাৎ ব্যবহার করা কিংবা ত্রুটি যুক্ত ফোনকে পুনরায় নতুন করে বাজারে বিক্রির উপযোগী করে তোলাই হচ্ছে রিফারবিশড প্রক্রিয়া। পৃথিবীর অনেক জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটে আপনি রিফারবিশড নামে আলাদা একটি ক্যাটাগরি দেখতে পাবেন।
পুরাতন এবং রিফারবিশড ফোনের মধ্যে পার্থক্য কি
আর সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন ফোন সম্পর্কে তো আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। একজন ব্যবহারকারী যে কোন ডিভাইস দীর্ঘদিন ইউজ করার পর সেটা যদি বিক্রি করে দেয় তাহলে সেটাকে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন বলে থাকে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, অফিস কলিগ নানা জনের কাছ থেকে আমরা এই ধরনের ফোন গুলো ক্রয় করে থাকি।
এমনকি ঢাকাসহ বাংলাদেশের অনেক এলাকায় দোকান রয়েছে যেখানে এই ধরনের ফোন গুলো কিনতে পাওয়া যায়। বাজেট কম থাকায় যেহেতু দামে ফোন গুলো সবসময় কেন সম্ভব হয় না তাই কম দামে এই ফোন গুলো অনেকেই কিনে থাকেন।
পুরাতন কিংবা রিফারবিশড ফোন কেনার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন
আপনি যে ধরনের মোবাইলই কিনেন না কেনো সেটা সম্পর্কে ভালোভাবে আগে যাচাই করে নিন। যদি সেটি পুরাতন কিংবা রিফারবিশড হয়ে থাকে তাহলে দোকানে বসে সকল ধরনের ফিচার গুলি চেক করে নিন।
যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্যামেরা, সাউন্ড কোয়ালিটি, ভয়েস কল, ভিডিও কোয়ালিটি, ডিসপ্লে, ব্যাটারি ব্যাকআপ ইত্যাদি। এমনকি ফোনটি কত বছর আগের মডেল সেটিও যাচাই করা জরুরী। লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম না হলে অনেক ফিচার এবং অ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা থেকে আপনি বঞ্চিত হতে পারেন।
সেই সাথে ফোনের কোন পার্টস পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা কিংবা ড্যামেজ আছে কিনা সেটা যাচাই করা জরুরী।
আমাদের শেষ কথা
বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি থেকে পুরাতন মোবাইল কিনার আগে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক প্রতারকরা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেয়। অনলাইনে যোগাযোগ করে ফোন কেনার ক্ষেত্রে সাথে অবশ্যই কাউকে নিয়ে যাবেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ধরনের কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়। তাই পুরাতন কিংবা রিফারবিশড ফোন কেনার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন এবং টাকা সাশ্রয় করুন।