দুধে ভেজাল আছে কিনা জানবেন কিভাবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে

দুধের ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি মানুষকেই প্রতিদিন দুধ পান করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই দুধের ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আপনি ঘরে বসে পরীক্ষা করতে পারবেন। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কেউ এ ব্যাপারে অবহিত করুন।

দুধের ভেজাল আছে কিনা পরীক্ষা করার উপায়

আমরা মাঝেমধ্যেই বাজার থেকে কিংবা আশেপাশ থেকে গরুর দুধ কিনে আনি। অনেক সময় অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কেনার ফলে প্রতারিত হতে হয়। সামান্য কিছু মুনাফার আশায় তারা এতে পানি বা ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করে। ইদানিংকালে তো বিভিন্ন ধরনের মেডিসিনও মেশানোর কথা শোনা যায়। তাই চলুন দুধে ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

গরম পানিতে ফুটানোর চেষ্টা করুন

কোন দুধের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য সেটিকে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘন্টা অল্প তাপে ফুটেতে থাকুন। আস্তে আস্তে দুধ যদি দইয়ে পরিনত হয় তাহলে সেটি একেবারে খাঁটি। আর যদি শক্ত দানায় পরিণত হতে শুরু করে তাহলে বুঝে নেবেন সেখানে স্টার্চ মেশানো রয়েছে।

গন্ধ শুঁকে দুধের ভেজাল নির্ণয়

একেবারে খাটি দুধ গুলোতে কিছুটা মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ থাকে। আপনি দুধের গন্ধ না শুঁকলে সেখানে যদি কৃত্রিম কোন ধরনের গন্ধ পান তাহলে ধরে নিতে পারবেন এতে কিছু পরিমাণে ভেজাল থাকতে পারে। গৃহিনী এবং দুধ কেনাবেচার ব্যাপারে যারা অভিজ্ঞ তারা খুব সহজে এ ব্যাপারটি ধরতে পারে।

ফেনার সাহায্যে পরীক্ষা করা

একটি কাঁচের বোতলে কিছু পরিমাণে দুধ রাখুন। মোটামুটি ১ থেকে ২ চামচ পরিমাণ নিলেই হবে। দুধের ভেজাল আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য বোতল টি ভালোভাবে নেড়ে নিন। আপনি যদি সেখানে প্রচুর পরিমাণে ফেনা দেখতে পান তাহলে জানিয়ে রাখা ভালো যে দুধের ডিটারজেন্ট বা এ জাতীয় কোন কিছু মেশানো হয়েছে।

আর যদি ফেনা খুবই অল্প পরিমাণে হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে ধরে নিবেন দুধ খাটি।

ভালোভাবে দুধের রং লক্ষ্য করুন

আমরা জানি দুধের রং হচ্ছে একদম সাদা। কিন্তু এটিকে জাল দেওয়ার পর ফ্রিজে রাখলে যদি হালকা হলুদ বর্ণে হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন এতে ভেজাল রয়েছে। অনেক সময় পানি মিশিয়ে দুধের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য এতে ইউরিয়া মিশন হয়। যার কারণে দুধের রং আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যায়।

আমাদের শেষ কথা

বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফল, দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যতটাই উপকারী ঠিক ততটাই ক্ষতিকর ভেজাল পণ্যে। তাই দুধের ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি আপনি জানার পাশাপাশি আশেপাশের লোকজনকেও জানার জন্য সাহায্য করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হয়। এ ধরনের আরও প্রয়োজনীয় টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিট করুন।

বাসায় বসেই ঘাড়ের কালো দাগ গুলো দূর করার উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

দুধে ভেজাল আছে কিনা জানবেন কিভাবে

আপডেট সময় : ০৮:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি মানুষকেই প্রতিদিন দুধ পান করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই দুধের ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আপনি ঘরে বসে পরীক্ষা করতে পারবেন। তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কেউ এ ব্যাপারে অবহিত করুন।

দুধের ভেজাল আছে কিনা পরীক্ষা করার উপায়

আমরা মাঝেমধ্যেই বাজার থেকে কিংবা আশেপাশ থেকে গরুর দুধ কিনে আনি। অনেক সময় অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কেনার ফলে প্রতারিত হতে হয়। সামান্য কিছু মুনাফার আশায় তারা এতে পানি বা ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করে। ইদানিংকালে তো বিভিন্ন ধরনের মেডিসিনও মেশানোর কথা শোনা যায়। তাই চলুন দুধে ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।

গরম পানিতে ফুটানোর চেষ্টা করুন

কোন দুধের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করার জন্য সেটিকে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘন্টা অল্প তাপে ফুটেতে থাকুন। আস্তে আস্তে দুধ যদি দইয়ে পরিনত হয় তাহলে সেটি একেবারে খাঁটি। আর যদি শক্ত দানায় পরিণত হতে শুরু করে তাহলে বুঝে নেবেন সেখানে স্টার্চ মেশানো রয়েছে।

গন্ধ শুঁকে দুধের ভেজাল নির্ণয়

একেবারে খাটি দুধ গুলোতে কিছুটা মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ থাকে। আপনি দুধের গন্ধ না শুঁকলে সেখানে যদি কৃত্রিম কোন ধরনের গন্ধ পান তাহলে ধরে নিতে পারবেন এতে কিছু পরিমাণে ভেজাল থাকতে পারে। গৃহিনী এবং দুধ কেনাবেচার ব্যাপারে যারা অভিজ্ঞ তারা খুব সহজে এ ব্যাপারটি ধরতে পারে।

ফেনার সাহায্যে পরীক্ষা করা

একটি কাঁচের বোতলে কিছু পরিমাণে দুধ রাখুন। মোটামুটি ১ থেকে ২ চামচ পরিমাণ নিলেই হবে। দুধের ভেজাল আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য বোতল টি ভালোভাবে নেড়ে নিন। আপনি যদি সেখানে প্রচুর পরিমাণে ফেনা দেখতে পান তাহলে জানিয়ে রাখা ভালো যে দুধের ডিটারজেন্ট বা এ জাতীয় কোন কিছু মেশানো হয়েছে।

আর যদি ফেনা খুবই অল্প পরিমাণে হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে ধরে নিবেন দুধ খাটি।

ভালোভাবে দুধের রং লক্ষ্য করুন

আমরা জানি দুধের রং হচ্ছে একদম সাদা। কিন্তু এটিকে জাল দেওয়ার পর ফ্রিজে রাখলে যদি হালকা হলুদ বর্ণে হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে পারেন এতে ভেজাল রয়েছে। অনেক সময় পানি মিশিয়ে দুধের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য এতে ইউরিয়া মিশন হয়। যার কারণে দুধের রং আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যায়।

আমাদের শেষ কথা

বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফল, দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যতটাই উপকারী ঠিক ততটাই ক্ষতিকর ভেজাল পণ্যে। তাই দুধের ভেজাল নির্ণয়ের পদ্ধতি আপনি জানার পাশাপাশি আশেপাশের লোকজনকেও জানার জন্য সাহায্য করুন। যাতে করে তারাও উপকৃত হয়। এ ধরনের আরও প্রয়োজনীয় টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিট করুন।

বাসায় বসেই ঘাড়ের কালো দাগ গুলো দূর করার উপায় জানতে এখানে প্রবেশ করুন।