জেনে নিন কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন

- আপডেট সময় : ০৪:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে আজকে আমি আলোচনা করব। এর আগে যেভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়েছিল শিল্প বিপ্লব ঠিক তেমনিভাবে বর্তমান যুগে শুরু হয়েছে ডিজিটাল বিপ্লব। এর গতি আগের যুগের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
পৃথিবী জুড়ে যত প্রতিষ্ঠান আছে তার ৯০ শতাংশই ব্যবসায়ের প্রচারণার জন্য নির্ভর করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর। এটি এমন একটি সেক্টর যেটি আগামী ৬০ বছর পরেও সমানভাবে জনপ্রিয় থাকবে। এ ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ নেই।
সাধারণ একটি হিসাব থেকে অনুমান করা যায়, বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জন্য প্রায় দশটা করে ওয়েবসাইট আছে। এর মানে হচ্ছে মোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা মোট মানুষের সংখ্যার প্রায় ১০ গুন বেশি। এমনকি প্রতিনিয়ত এর সংখ্যা বাড়তে চলেছে। যার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা। এই কাজ শিখে একজন প্রফেশনাল মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে।
যদিও যতটা শুনতে সহজ মনে হচ্ছে বাস্তবের পক্ষে কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাই আপনার উন্নত ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের পরামর্শ হিসেবে আজকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় গুলি সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই এর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কঠোর পরিশ্রম এবং সময়
কোন সফলতাই পরিশ্রম ছাড়া অর্জন করা যায় না। এর জন্য প্রচুর পরিশ্রমের পাশাপাশি সময়ও প্রয়োজন। ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই বিস্তৃত একটি সেক্টর। তাই আপনাকে নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে, প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে তাহলেই ভবিষ্যতে সাকসেস হতে পারবেন। শুরু করার আগে এই বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন।
প্রয়োজন ইংরেজিতে দক্ষতা
যে কোন কাজের জন্য এর প্রয়োজন আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি। আপনি যদি দেশের বাইরে বিদেশি বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষতা প্রয়োজন হবে।
একবার ভেবে দেখুন শুধুমাত্র একটি ভাষায় দক্ষ হওয়ার কারণেই আপনি পৃথিবী জুড়ে মানুষের সাথে কাজ করতে পারছেন। এতে করে বৃদ্ধি পাবে আপনার ইনকামের সোর্স।
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করুন
বর্তমান চারিদিকে সকল মানুষ প্রতিষ্ঠানের চাইতে নিজেদের ব্যান্ডিং এর দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। আপনি দেশি-বিদেশী বিভিন্ন স্টার্ট আপ গুলোর ফাউন্ডারদের দিকে তাকিয়ে দেখেন। কারণ এ সকল ফাউন্ডারদের পরিচিতির কারণে তাদের প্রতিষ্ঠান মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশের আয়মান সাদিক এবং টেন মিনিট স্কুল তার অন্যতম উদাহরণ।
যেকোনো সেক্টরে সেক্টরেও আপনি মানুষের মধ্যে যত বেশি পরিচিত লাভ করতে পারবেন আপনার আয়ের পরিমাণ তত বৃদ্ধি সেক্টরে
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় হিসেবে একাধিক ওয়েবসাইট
আপনি যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কিংবা প্রযুক্তি নির্ভর কাজই করেন না কেন ওয়েবসাইট তো অবশ্যই প্রয়োজন হবে। তাই সবসময় একটি ওয়েবসাইট হাতে না নিয়ে বেশ কয়েকটি সাইটের কাজ শুরু করা উচিত।
প্রয়োজন কিছু পরিমাণে ইনভেস্টমেন্ট
কোনরকম অর্থ খরচ না করে তেমন কিছুই করা সম্ভব না এই যুগে। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে। কোর্স করা, ভালো কম্পিউটার সেটআপ, মোবাইল, ইন্টারনেট, বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস ক্রয় বাবদ বেশ অর্থ খরচ হয়ে থাকে।
কম্পিউটার বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে সাধারণ নলেজ
গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ছবি এডিটিং ইত্যাদি সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের ইমেইল টেমপ্লেট, কিওয়ার্ড রিসার্চ, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রয়োজন হবে। আপনার যদি এগুলো সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকে তাহলে এটা খুবই সহজ হবে। তা না হলে আস্তে আস্তে আয়ত্ত করে নিতে হবে
আমাদের শেষ কথা
পৃথিবীতে কাজের কোন অভাব নেই। অনেক মানুষ এই নানা বিচিত্র বিষয়ে নিজেকে যুক্ত করে সফল হচ্ছে। আপনিও এগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি বেছে নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় জানতে চান কিংবা নিজেকে নিযুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই সময় এবং কঠোর পরিশ্রম উভয়ে ব্যয় করার মন মানসিকতা থাকতে হবে।
প্রিয় মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে কি করবেন, বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।