ঝড় বৃষ্টির দিন গুলোতে পরিবার নিয়ে কিভাবে নিরাপদ থাকবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে

ঝড়ের সময় নিরাপদ থাকা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আগামী আরও দুই দিন এর প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বছরের বেশ কয়েক মাস বাংলাদেশে ঝড়, বৃষ্টি এবং বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। আর এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অবশ্যই কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। তা না হলে পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে দিন পার করতে হতে পারে।

ঝড়ের সময় নিরাপদ থাকার জন্য নিম্নের কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

১। গুরুত্বপূর্ণ সকল কাগজ, মূল্যবান সামগ্রী ইত্যাদি এমন একটি জায়গায় রাখুন যেগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেজার কোন সম্ভাবনা নেই। কোনভাবেই এগুলোকে বাসার খোলামেলা স্থানে রাখবেন না।

২। ঝড়, বৃষ্টি মৌসুমে বাসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, পানি এবং শুকনো খাবার রেখে দিন। যাতে যে কোন বিপদকালীন সময়ে দুই থেকে তিন দিন পরিবার নিয়ে চলতে পারেন। প্রচন্ড ঝড় কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হঠাৎ করে কেউ ঠান্ডা, জ্বরে আক্রান্ত হলে যেন মেডিসিন খাওয়াতে পারেন। এ সময় গুলোতে ফার্মেসি কিংবা দোকান খোলা পাওয়া যায় না।

৩। দুর্যোগ কালীন সময়ে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন সেজন্য স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে দিন যাপন করুন। কারণ বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল আছে যে এলাকা গুলোতে বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। তাই জরুরি চিকিৎসা পাওয়া কঠিন।

৪। যেকোনো বড় ঘূর্ণিঝড় কিংবা টর্নেডোর খবর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়। তাই বাসার বৃদ্ধ এবং শিশুদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ শারীরিকভাবে সক্ষম মানুষ খুব সহজেই স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয় বা স্থানে যেতে পারবে। সবচাইতে ভালো হয় দূরের কোন আত্মীয়-স্বজন যেখানে ঝড় বৃষ্টির প্রভাব কম সেখানে পাঠিয়ে দিন।

৫। আপনি যদি দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বসবাস করে থাকেন তাহলে ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকার জন্য সর্বদাই খবর সম্পর্কে খোঁজ রাখুন। তবে কোন গুজবে কান দেবেন না। এতে করে বাড়তি মানসিক চাপে পড়তে হবে।

৬। স্থানীয় প্রশাসনের হেল্পলাইন এবং প্রয়োজনীয় নম্বর গুলো সংরক্ষণে রাখুন। যাতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে সাহায্য চাইতে পারেন।

৭। যেকোনো দুর্যোগে সবচাইতে বেশি সমস্যা হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুতের লাইন। তাই বাড়িতে বাড়তি চার্জার ব্যাকআপ হিসেবে পাওয়ার ব্যাংক, আইপিএস ইত্যাদি রাখতে পারেন। এতে অন্তত সকল খবরাখবর পাবেন এবং যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন।

৮। আপনার আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। কেউ কোন বিপদে পড়লে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করুন।

৯। ঝড়ের রাতে নিরাপদ থাকার জন্য পরিবার নিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এমনকি আবহাওয়ার সংবাদের মাধ্যমে যদি আগাম কোন সতর্কবার্তা থাকে তাহলে চেষ্টা করুন বাসায় অবস্থান করা।

আমাদের শেষ কথা

ছোটবেলায় বইয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে পড়েছি। ঝড়ের সময় নিরাপদ থাকার এই উপায় গুলি আপনার পরিবারদের অন্য সদস্যদের কেউ জানান। যাতে করে তারা সর্বোচ্চ সচেতন হতে পারে। মনে রাখবেন আগাম প্রস্তুতি বিভিন্ন দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়।

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ সীমিত করা হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

OPXNews Stuff

OPX NEWS Stuff

ঝড় বৃষ্টির দিন গুলোতে পরিবার নিয়ে কিভাবে নিরাপদ থাকবেন

আপডেট সময় : ০৬:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আগামী আরও দুই দিন এর প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বছরের বেশ কয়েক মাস বাংলাদেশে ঝড়, বৃষ্টি এবং বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। আর এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অবশ্যই কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। তা না হলে পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে দিন পার করতে হতে পারে।

ঝড়ের সময় নিরাপদ থাকার জন্য নিম্নের কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

১। গুরুত্বপূর্ণ সকল কাগজ, মূল্যবান সামগ্রী ইত্যাদি এমন একটি জায়গায় রাখুন যেগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেজার কোন সম্ভাবনা নেই। কোনভাবেই এগুলোকে বাসার খোলামেলা স্থানে রাখবেন না।

২। ঝড়, বৃষ্টি মৌসুমে বাসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, পানি এবং শুকনো খাবার রেখে দিন। যাতে যে কোন বিপদকালীন সময়ে দুই থেকে তিন দিন পরিবার নিয়ে চলতে পারেন। প্রচন্ড ঝড় কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় হঠাৎ করে কেউ ঠান্ডা, জ্বরে আক্রান্ত হলে যেন মেডিসিন খাওয়াতে পারেন। এ সময় গুলোতে ফার্মেসি কিংবা দোকান খোলা পাওয়া যায় না।

৩। দুর্যোগ কালীন সময়ে যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন সেজন্য স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে দিন যাপন করুন। কারণ বাংলাদেশের অনেক অঞ্চল আছে যে এলাকা গুলোতে বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যাতায়াত ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। তাই জরুরি চিকিৎসা পাওয়া কঠিন।

৪। যেকোনো বড় ঘূর্ণিঝড় কিংবা টর্নেডোর খবর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়। তাই বাসার বৃদ্ধ এবং শিশুদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ শারীরিকভাবে সক্ষম মানুষ খুব সহজেই স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয় বা স্থানে যেতে পারবে। সবচাইতে ভালো হয় দূরের কোন আত্মীয়-স্বজন যেখানে ঝড় বৃষ্টির প্রভাব কম সেখানে পাঠিয়ে দিন।

৫। আপনি যদি দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বসবাস করে থাকেন তাহলে ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকার জন্য সর্বদাই খবর সম্পর্কে খোঁজ রাখুন। তবে কোন গুজবে কান দেবেন না। এতে করে বাড়তি মানসিক চাপে পড়তে হবে।

৬। স্থানীয় প্রশাসনের হেল্পলাইন এবং প্রয়োজনীয় নম্বর গুলো সংরক্ষণে রাখুন। যাতে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে সাহায্য চাইতে পারেন।

৭। যেকোনো দুর্যোগে সবচাইতে বেশি সমস্যা হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুতের লাইন। তাই বাড়িতে বাড়তি চার্জার ব্যাকআপ হিসেবে পাওয়ার ব্যাংক, আইপিএস ইত্যাদি রাখতে পারেন। এতে অন্তত সকল খবরাখবর পাবেন এবং যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন।

৮। আপনার আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। কেউ কোন বিপদে পড়লে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করুন।

৯। ঝড়ের রাতে নিরাপদ থাকার জন্য পরিবার নিয়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এমনকি আবহাওয়ার সংবাদের মাধ্যমে যদি আগাম কোন সতর্কবার্তা থাকে তাহলে চেষ্টা করুন বাসায় অবস্থান করা।

আমাদের শেষ কথা

ছোটবেলায় বইয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে পড়েছি। ঝড়ের সময় নিরাপদ থাকার এই উপায় গুলি আপনার পরিবারদের অন্য সদস্যদের কেউ জানান। যাতে করে তারা সর্বোচ্চ সচেতন হতে পারে। মনে রাখবেন আগাম প্রস্তুতি বিভিন্ন দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়।

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ সীমিত করা হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।